বড়িরায় রাত-বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
রাতে গ্রামে সমস্যার কথা শুনতে আসা বিধায়কের কাছে ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা। পানীয় জল, রাস্তা থেকে নিকাশি—সব কিছু নিয়েই সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা, কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এমনই অভিযোগ জানালেন পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির লালাবাজার ও বড়িরা গ্রামের বাসিন্দারা। বিধায়ক আশ্বাস দেন, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি। বাসিন্দাদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে গ্রামে রাতও কাটান তিনি।
রবিবার রাতে উজ্জ্বলবাবু প্রথমে যান লালাবাজার গ্রামে। সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারে সন্ধ্যা থেকে জড়ো হয়েছিলেন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা। তাঁরা বিধায়কের সামনে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু দিন ধরেই এলাকার মূল রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছে। আবর্জনা সাফাই হচ্ছে না। নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না। দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায়। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু ও প্রবীণেরা। উজ্জ্বলবাবু আশ্বস্ত করেন, এলাকার কাউন্সিলরের মাধ্যমে তিনি পুরসভার কাছে এ সব সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।
লালাবাজারে কর্মসূচি শেষ করে উজ্জ্বলবাবু বড়িরা গ্রামে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায়, যুব সভাপতি বুম্বা চৌধুরী ও শ্রমিক নেতা বাবন মুখোপাধ্যায়। বড়িরায় আলোচনার শুরুতেই বাসিন্দারা পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, বারবার বলেও কোনও পক্ষ সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না। তাঁরা বিধায়কের সামনে আরও দাবি করেন, বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সে জন্য আসানসোল পুরসভাকে পাইপলাইন বসানোর অনুরোধ করেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি। ফলে, এখনও প্রতি গ্রীষ্মে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে জল বয়ে আনতে হয় তাঁদের। পুরসভার তরফে ট্যাঙ্কারে যে পরিমাণ জল পাঠানো হয়, তাতে প্রয়োজন মেটে না বলেও দাবি করেন তাঁরা।
উজ্জ্বলবাবু আশ্বাস দেন, পুরসভার কুলটি জল প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। লালাবাজার ও বড়িরা এলাকাতেও জলের পাইপলাইন পাতা হয়ে গিয়েছে। মার্চের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। জলের সমস্যার বিষয়ে আসানসোল পুরসভার জল দফতরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর আবেদন করলে জল প্রকল্প চালু না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় পর্যাপ্ত জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হবে।