independence day

Independence day: উড়বে তেরঙ্গা, তৈরি সৌধ

কালনা রাজবাড়ি চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। বহু পর্যটক যেগুলির টানে শহরে আসেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২২ ০৯:২১
Share:

রাজবাড়ি চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

লোহার পাইপের উচ্চতা ৫০ ফুট। ওজন দু’টন। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ অগস্ট কালনা রাজবাড়ি চত্বরে ওই পাইপেই উড়বে জাতীয় পতাকা। সেখানে তৈরি হচ্ছে স্বাধীনতার স্মারক সৌধ। উদ্যোগ ভারতীয় পূরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের।

Advertisement

কালনা রাজবাড়ি চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। বহু পর্যটক যেগুলির টানে শহরে আসেন। রাজবাড়ি চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কংক্রিটের গাঁথনির উপরে দু’টি বিম তৈরি হচ্ছে। ওই সৌধেই উড়বে জাতীয় পতাকা। সংলগ্ন জমিতে বিছানো হয়েছে ছোট-ছোট পাথর। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সূত্রে জানা যায়, পাকাপাকি ভাবে তৈরি করা হচ্ছে ১৫ অগস্টের স্মারকসৌধটি। যেখানে সারা বছর উড়বে জাতীয় পতাকা।

পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কলকাতা সার্কেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার পাশাপাশি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ ও জোড়া মন্দিরের কাছেও এই কাজ চলছে। টেরাকোটার কারুকাজে ভরা ওই সব মন্দিরের সামনে স্বাধীনতার দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। হাজির থাকবেন বিভিন্ন স্তরের কৃতী মানুষজন।

Advertisement

পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণের তরফে কালনা রাজবাড়িতে ১৫ অগস্টের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় এবং কার্গিল যুদ্ধে যোগ দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত সাব মেজর নরেশচন্দ্র দাস। তাঁর কথায়, ‘‘স্বাধীনতা দিবসে এমন এক অনুষ্ঠানে ডাক পেয়ে আমি গর্বিত।’’ ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকেরা। ওই দিন বিভিন্ন মন্দিরের প্রাঙ্গণে ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ চালানো হবে। হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের কালনা সাব-সার্কেলের সিনিয়র সিএ অমিত মালো বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই আয়োজন। পতাকা কখনও অন্ধকারে ঢাকবে না। বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলেও সমস্যা নেই। রয়েছে ইনভার্টার।’’ পুরাতত্ত্ব বিভাগের আর এক আধিকারিক গঙ্গা দাস জানান, এই প্রথম রাজবাড়ি কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। কোথাও যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তা দেখা হচ্ছে। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তবে তিনি মনে করেন, ‘‘লম্বা লোহার পাইপ থাকলে মন্দিরগুলি দেখতে সমস্যা হবে। মন্দির চত্বরে না করে, স্মারক সৌধটি অন্য কোথাও করলে ভাল হত।’’ এ নিয়ে অবশ্য পূরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের কেউ মন্তব্য করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement