দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমানে আবার ট্রেন বিভ্রাট। চরম ভোগান্তিতে পড়লেন যাত্রীরা। শুক্রবার ১৩০১১ আপ হাওড়া-মালদহ টাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের পালসিট ও রসুলপুর স্টেশনের মাঝমাঝি জায়গায়।
রেল সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিট থেকে ট্রেন থেমে গেলেও বিকল ইঞ্জিন সরিয়ে নতুন ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয় প্রায় ৩ ঘণ্টা পর। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। দীর্ঘ ক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। গুসকরার বাসিন্দা তপন কোল। ওই যাত্রীর কথায়, ‘‘অবাক কাণ্ড! সামান্য একটা ইঞ্জিন বদল করতে ৩ ঘণ্টা লেগে গেল। এই শীতের রাতে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলাম। রেল প্রশাসনের কোন দায়-দায়িত্ব নেই।’’ একই কথা বলছেন বোলপুরের নিচুপটির বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী রমেশ রায়। তাঁর কথায়, ‘‘সামান্য একটা ইঞ্জিন খারাপ হলে যদি এই রকম ঘটনা ঘটে, তাহলে রেলের প্রতি মানুষের ভরসা থাকবে না।’’
বস্তুত, গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনায় পড়ে আপ বন্দেভারত এক্সপ্রেস। ওই দূরপাল্লার ট্রেনের বেশ কয়েকটি পাদানি ভেদিয়া স্টেশনের প্লাটফর্মে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায়। ওই ট্রেনেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ঘণ্টাখানেক ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেনটি আবার গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। তার আগে বুধবার আপ শতাব্দী এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে ঝাপটার ঢাল স্টেশনে। শুক্রবারের ট্রেন-বিভ্রাট নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। ব্যান্ডেল থেকে নতুন ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। তার পর ট্রেনটি মালদহ টাউনের দিকে রওনা দেয়।’’