Idol Makers

মৃল্যবৃদ্ধিতে প্রতিমা গড়তে নাকাল জেলার মৃৎশিল্পীরা

গঙ্গামাটির দামও আকাশ ছোঁয়া। আগে যে গঙ্গামাটির বস্তা ৭০-৭৫ টাকায় মিলত, তার দাম এখন ১৬০ টাকা বস্তা ছুঁয়েছে। আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

প্রতিমার কাজ। খাল বিলের মাঠের একটি কারখানায়। নিজস্ব চিত্র।

দূর্গাপুজোর আয়োজক ক্লাবগুলির অনুদান বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার, মিলেছে অন্য সুবিধাও। তবে পুজোর এই জাঁকজমক আয়োজনে নিজেদের প্রদীপের নীচের অন্ধকারের মতোই উপেক্ষিত মনে করছেন জেলার মৃৎশিল্পীরা। তাঁদের দাবি, মাটি-সহ অন্য জিনিসপত্রের অত্যাধিক দাম বাড়ায় ঠাকুর গড়তে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন শিল্পীরা। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সরকার তাঁদের দিকেও মুখ তুলে তাকান, পুজোয় তাঁদের ঘরেও স্বাচ্ছ্যন্দ আসুক এই আবেদন তাঁদের।

Advertisement

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্লাবের তরফে দূর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত পেয়েছেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু শিল্পীদের দাবি, মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রতিমা তৈরির সামগ্রী কিনতেই করতেই পকেট ফাঁকা হওয়ার জোগাড় শিল্পীদের। বর্ধমানের শক্তিগড়ের বাজেশালেপুরের এক মৃৎশিল্পী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জেলা জুড়ে ডিভিসির ক্যানেল সংস্কারের কাজ চলায় সেখান থেকে যে বেলে মাটি সংগ্রহ করা যেত, তা মিলছে না। গঙ্গামাটি কিনে কাজ করতে হচ্ছে।”

গঙ্গামাটির দামও আকাশ ছোঁয়া। আগে যে গঙ্গামাটির বস্তা ৭০-৭৫ টাকায় মিলত, তার দাম এখন ১৬০ টাকা বস্তা ছুঁয়েছে। আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। শিল্পীদের দাবি, বাঁশ প্রতিটি ১০ টাকা, দড়ি কেজিতে ২০ টাকা, পেরেকের কেজিতে ১০-১৫ টাকা দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির অনুপাতে প্রতিমার দাম বাড়ানো যাচ্ছে না বলে আক্ষেপ শিল্পীদের।

Advertisement

বর্ধমানের শ্যামলাল পাড়ার সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পিলখানা লেনের পূর্ণেন্দু দে, কাঞ্চনগরের বলরাম পালরা বলেন, “এ সব ছাড়াও ঠাকুরের সাজের দামও বেড়েছে। এটাও মৃৎশিল্পীদের মাথা ব্যথার আরও একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়েই প্রতিমার দাম কিছুটা বাড়াতে হয়েছে।” তাঁদের আক্ষেপ, প্রতিমার দাম যে পরিমাণে বাড়াতে হত, তা করা যায়নি। কারণ সে ক্ষেত্রে পুজো উদ্যোক্তারা ছোট প্রতিমা কিনতে চাইবেন। তাই লাভ কম রেখেই কাজ করছেন তাঁরা।

মৃৎশিল্পীদের মিলিত আবেদন, রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলির অনুদান বাড়ানোর পাশাপাশি তাঁদের দিকেও মুখ তুলে তাকান। কারণ পুজোর মূল কারিগর তাঁরাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement