— প্রতীকী ছবি।
অন্য এক মহিলার সঙ্গে বৌমার সম্পর্কে আপত্তি ছিল পরিবারের। তা নিয়ে নিয়মিত গোলমালও বাধত। সেই ঘটনারই চরম পরিণতি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। বৌমার বিরুদ্ধে শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ। পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করেছে।
পরিবারের দাবি, বছর দু’য়েক আগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রপাত গৃহবধূর। যে সম্পর্কে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল মহিলার স্বামী এবং শাশুড়ি অনিমা রায়ের। পাশাপাশি, বেনাচিতির দেবীনগরে যে বাড়িতে পরিবারটি বাস করে, সেই বাড়ির উপরও নজর ছিল বধূর বান্ধবীর, এমনই অভিযোগ পরিবারের। এ নিয়ে গত আড়াই বছর ধরে অশান্তি চলছিল পরিবারে। অশান্তি চরমে ওঠে গত ২৯ অক্টোবর, লক্ষ্মীপুজোর পর দিন। দেবীনগরের বাড়িতে শাশুড়িকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বধূর বিরুদ্ধে। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করার অভিযোগ মহিলার বান্ধবী সিভিক ভলান্টিয়ার, তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধেও। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রৌঢ়াকে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় মহিলার বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করেছে। দুর্গাপুরের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ‘‘বেশ কয়েক দিন আগে পরিবারে মারামারি হয়েছিল। ক’দিন পরে প্রৌঢ়া হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’