রান্নার গ্যাসের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর জন্য লাইন। পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ
সার্ভারের লিঙ্ক না থাকায় গ্যাস এজেন্সির দোকানে গ্যাসের বায়োমেট্রিক তথ্য দেওয়ার কাজ করাতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে দাবি গ্রাহকদের অনেকের। ডিস্ট্রিবিউটরদের দাবি, প্রচুর চাপ পড়ে যাওয়ায় এমনটা হচ্ছে। তাতে গ্রাহকদের আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ, বায়োমেট্রিক না হলেও গ্যাস পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।
বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জে গির্জাপাড়ায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি গ্যাসের এজেন্সির দোকানের সামনে দুপুর ২টো নাগাদ কয়েকশো জনের লম্বা লাইন দেখা যায়। প্রায় রাস্তা পর্যন্ত নেমে এসেছে সেই লাইন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বল্লভপুরের সুশান্ত সরকার জানান, বুধবার দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে লিঙ্ক না থাকায় ফিরে যেতে হয়েছিল। এ দিন আবার সকাল ১০টা নাগাদ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তার পরে জানতে পারেন, লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুর ১টা পর্যন্ত লিঙ্ক আসেনি। এর পরে প্রায় দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত এজেন্সির প্রতিনিধিদের খাওয়ার সময় থাকায় সব কাজ বন্ধ থাকে। এ দিন এরই মধ্যে তাঁদের টোকেন দেওয়া হয়। তার পরে ৩টে নাগাদ কাজ হয়েছে।
কুমারবাজারের বাসিন্দা সোমনাথ মণ্ডল জানান, তাঁর মায়ের বয়স ৬৯ বছর। মায়ের নামেই গ্যাসের সংযোগ থাকায় তাঁকে নিয়ে সকালে এসেছিলেন। লম্বা লাইন দেখে ফিরে যান। দুপুর ১টা নাগাদ এসে জানতে পারেন, টোকেন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যাঁরা টোকেন পেয়েছেন, তাঁদের কাজ শেষ হওয়ার পরে তাঁর কাজ হয়। অশোকপল্লির বধূ শচীলতা বসু জানান, লিঙ্ক না থাকার জন্যই দীর্ঘ লাইন শেষ হতে অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। স্কুলপাড়ার শুভজিৎ বসু জানান, জাতীয় সড়ক ঘেঁষে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করা হয়নি। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকছে।
আসানসোলের আপকার গার্ডেনে একটি গ্যাস এজেন্সিতেও একই অবস্থা দেখা গেল বৃহস্পতিবার। রানিগঞ্জে গির্জাপাড়ার ডিস্ট্রিবিউটর গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোলের আপকার গার্ডেনের ডিস্ট্রিবিউটার অনিন্দ্য বিশ্বাসেরা জানান, সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত লিঙ্ক থাকছে। এর পরে প্রায় ২টো পর্যন্ত লিঙ্ক মেলা মুশকিল হচ্ছে। তার পরে লিঙ্ক এলেও ধীর গতিতে কাজ হচ্ছে। তার জেরে দিনে তিনশোর বেশি গ্রাহকের বায়োমেট্রিকের কাজ করা যাচ্ছে না বললেই চলে। তবে গ্রাহকদের তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, সবার বায়োমেট্রিকের কাজ করা হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, সড়কে ট্র্যাফিক পুলিশের নজরদারি রয়েছে।