পলাশডাঙায় জ্বর, আজ শিবির করবে ব্লক প্রশাসন

স্থানীয় বাসিন্দা পরেশ মাহাতোর বক্তব্য, ‘‘গ্রামের অনেকেই জ্বরে ভুগছে। কয়েক জন হাসপাতালে গেলেও বেশির ভাগই বাড়িতে ওষুধ খাচ্ছে। ফলে জ্বর কমছে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০১:১৬
Share:

এমনই হাল সাফাইয়ের।

এলাকার এক ছাত্র জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। দিন তিনেক আগে তাঁর মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, গ্রামে অন্য কয়েক জনও জ্বরে আক্রান্ত বলে এলাকাবাসী জানান। এই পরিস্থিতিতে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের পলাশডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। বাসিন্দাদের একাংশ জানান, এলাকার বহু বাসিন্দাই কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। স্থানীয় বাসিন্দা পরেশ মাহাতোর বক্তব্য, ‘‘গ্রামের অনেকেই জ্বরে ভুগছে। কয়েক জন হাসপাতালে গেলেও বেশির ভাগই বাড়িতে ওষুধ খাচ্ছে। ফলে জ্বর কমছে না।’’

গ্রামের এই পরিস্থিতিতে নিকাশি ও সাফাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা জানান, এলাকায় যে ভাবে নানা জায়গায় জল জমে থাকছে, তাতে অবাধে বংশবিস্তার হচ্ছে মশার। বাসিন্দারা জানান, এলাকার চারদিকে রয়েছে চাষ জমি। উপযুক্ত নিকাশি নালা না থাকায় নিকাশির জল জমিতে পড়ছে। সমস্যা আরও বাড়ছে বর্ষায়।

Advertisement

ফলে বাড়ছে মশার উৎপাতও। স্থানীয় বাসিন্দা রোহিত চৌধুরী, অনিল কিশোরেরা জানান, গ্রামের চারপাশ জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। বিষয়টি পঞ্চায়েতে জানিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। এমনকি, এলাকায় ব্লিচিং বা অন্য কোনও রাসায়নিক স্প্রে করা হয়নি। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে ভাবে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে সাফাইয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সমস্যা বাড়বে।

তবে সম্প্রতিগ্রামের এক তরুণের মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন, সকলেই। শুক্রবার দুপুরে এলাকায় যান স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসক-সহ বেশ কয়েক জন কর্মী। তাঁরা জানান, এলাকায় যাঁদের জ্বর হয়েছে, তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করানো হবে। এর জন্য শনিবার গ্রামে একটি শিবিরও আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া যাঁরা বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।

এ দিন গ্রামে গিয়েছিলেন বিডিও (কাঁকসা) অরবিন্দ বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েতকে এলাকায় দ্রুত সাফাই অভিযান শুরু করার জন্য বলা হয়েছে। এলাকায় ব্লিচিং, প্রতিষেধক দেওয়া হবে। যেখানে জল জমে রয়েছে, সেই জায়গাগুলিও পরিষ্কার করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement