প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় সোনার মতো ধাতব পদার্থ ফেলে রেখে লোক ঠকানো-চক্রের হদিশ পেল বর্ধমান থানার পুলিশ। প্রতারণা-চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০ গ্রামের চার কোনা সোনার মতো দেখতে ওই ধাতব টুকরো। মিলেছে সোনার দোকানের একটি বিলও।
গত সোমবার দুপুরে বর্ধমানে এসে এই প্রতারণার শিকার হন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার বেথুয়াডহরির বাসিন্দা সুব্রত শিকারি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্জন গেটে আসার জন্য বর্ধমান স্টেশন থেক একটি রিকশায় চাপেন সুব্রত। তাঁর অভিযোগ, রিকশাচালক তাঁকে জিটি রোডের রাস্তা ধরে না নিয়ে এসে বিগ বাজারের দিকে নিয়ে যায়। এর পরেই চৌধুরী মার্কেটের কাছে চালক দেখতে পান, রাস্তায় একটি পুঁটুলি পড়ে রয়েছে। রিকশা দাঁড় করিয়ে ওই পড়ে থাকা পুঁটলি তুলে খুলে দেখেন, ভিতরে ‘সোনা’! ভিতরে সোনার দোকানের একটি বিলও রয়েছে।
সুব্রত পুলিশকে জানান, পুঁটুলির ভিতরের ধাতব পদার্থ সত্যিই সোনা কি না, তা যাচাইয়ের জন্য তাঁকেও দেখান রিকশাচালক। এর পরই ওই চালক সুব্রতকে বলেন, ‘‘আপনি এই সোনা রেখে দিন। আমায় বরং অল্প করে কিছু দিয়ে দেবেন...।’’ এতেই সন্দেহ হয় সুব্রতের।
এর পরেই সোজা মুরাদপুর ফাঁড়িতে এসে পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান তিনি। রিকশাচালককেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চালকের নাম তালেব শেখ। তিনি বর্ধমান শহরের খোসবাগানের আমবাগান এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, কী ভাবে কাজ করছে এই প্রতারণা চক্র।
কিছু দিন আগেও বর্ধমান পুরসভার অফিসের সামনে থেকে সোনার মতো দেখতে একটি ধাতব বস্তু উদ্ধার হয়। স্বর্ণকারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই বস্তুটি সোনা নয়। পুলিশের অনুমান, এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। বুধবার ধৃত তালেবকে সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।