শনিবার গভীর রাতে ধানবাদ জেলার বাগমারা থানার বিসিসিএল ব্লক-২ এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি প্রধান সাইডিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়খণ্ডে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ)-র গুলিতে মৃত্যু ৪ জনের। কয়লা চুরি এবং বাহিনীর উপর হামলার অভিযোগে গুলি চালানো হয়েছে বলে খবর সিআইএসএফ সূত্রে। ঘটনায় দু’জন গুরুতর আহতও হয়েছেন। তাঁদের রাঁচী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে ধানবাদ জেলার বাগমারা থানার বিসিসিএল ব্লক-২ এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি প্রধান সাইডিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। সিআইএসএফ সূত্রে খবর, বাইকে করে কয়েক জন কয়লা চুরি করতে এসেছিলেন। তাঁদের বাধা দেওয়ায় হামলা চালানো হয়। সিআইএসএফের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছেন জওয়ানরা। যার জেরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম— প্রীতম চৌহান, সাহজাদা আনসারি, আলতাফ আনসারি, সুরজ চৌহান। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বাইক উদ্ধার হয়েছে।
সিআইএসএফের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারের অবশ্য দাবি, বিনা কারণে গুলি চালিয়েছে বাহিনী। সাহজাদার এক আত্মীয় বলেন, ‘‘আমরা গরিব মানুষ। কিছু কয়লা নিয়ে এসে সেটা বিক্রি করে সংসার চালাই। আমাদের রোজগারের সমাধান করুক সরকার। খিদের জ্বালায় কয়লা আনতে গিয়েছিলেন ওঁরা।’’
সিআইএসএফের ডিআইজি বিজয় কাজলা বলেন, ‘‘যে ৪ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা রাতে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালান। বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’