শপিং মলে হানা দিয়েছে জঙ্গিরা! অভিযান চালাচ্ছেন ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’-এর (এনএসজি) কমান্ডোরা। কয়েকজন ‘জখম’ হয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে ফোন গিয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু এমন অবস্থায় হাসপাতালে যাঁদের থাকার কথা ছিল, সেই মেডিক্যাল অফিসারেরা কোথায়?
বুধবার রাতে এনএসজি-র সেই ‘বিশেষ মহড়া’ (মক ড্রিল) চলাকালীন হাসপাতালে গরহাজির থাকায় চার ডাক্তারকে শুক্রবার শো-কজ করেছেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস। দেবব্রতবাবুর কথায়, ‘‘ওই চার মেডিক্যাল অফিসার হাজির না থাকায় সে রাতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। তাই শো-কজ।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শহরে ‘জঙ্গি হানা’ হলে পুলিশ-প্রশাসনের কী করণীয়, তা দেখাতে বুধবার রাত ১১টা নাগাদ জাতীয় সড়কের ধারে ওই মলে মহড়া চালায় এনএসজি। এ জন্য আগেভাগে কাউকে কিছু জানানো হয়নি।
এক ঘণ্টার ওই ‘মহড়ায়’ এনএসজি সঙ্গে নেয় ‘কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স’ (সিআইএফ), আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের কিছু পুলিশকর্মী ও জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কয়েকজন কর্তাকে। মহড়া চলাকালীন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ‘মেডিক্যাল টিম’ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয় দুর্গাপুর হাসপাতালের সুপারকে। কিন্তু সে সময় ‘ডিউটি’তে হাসপাতালের চার মেডিক্যাল অফিসারের এক জনও ছিলেন না। শেষমেশ এক জুনিয়র ডাক্তারকে সঙ্গে নিয়ে দেবব্রতবাবু নিজেই ঘটনাস্থলে যান।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, এ রকম পরিস্থিতিতে অন্তত এক জন মেডিক্যাল অফিসারের নেতৃত্বে চিকিৎসক দল ঘটনাস্থলে পাঠাতে হয়। অথচ, বুধবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়েই ওই মেডিক্যাল অফিসারেরা হাসপাতাল ছাড়েন বলে দাবি সুপারের। এ দিন বহু চেষ্টাতেও ওই চার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের সৌভাগ্য, ওটা মক-ড্রিল ছিল। সাজানো ঘটনা। সত্যি হলে কী হতো!’’