পুরসভার এলাকা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেকখানি। নতুন জেলা তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে প্রশাসনিক স্তরে বিভিন্ন পদক্ষেপও করা হচ্ছে। কিন্তু এ যাবৎ আসানসোল পুর এলাকায় কোনও বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। এর ফলে শহরের দূষণ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, চলতি বছরের শেষ বা নতুন বছরের গোড়ায় বার্নপুরের কালাঝরিয়া শ্মশানে চালু হতে চলেছে বৈদ্যুতিক চুল্লি।
২০১৫ সালে নতুন কলেবরে আসানসোল পুরসভা আত্মপ্রকাশ করে। প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের দাবি, ২০১৭-র এপ্রিলে নতুন জেলা হিসেবে আসানসোল-দুর্গাপুর আত্মপ্রকাশ করার যথেষ্ট সম্ভাবনা। কিন্তু এখনও পুর এলাকার সব শ্মশানেই সনাতন পদ্ধতিতে শব-দাহ করা হয়। এর জেরে জ্বালানির জোগান, দূষণ প্রভৃতি সমস্যা হয় বলে জানান বাসিন্দারা। আসানসোলের দোমহানি শ্মশান লাগোয়া এলাকায় জনবসতি রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, শবদাহের সময়ে ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ে। বহু দিন ধরেই তাঁরা শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর দাবি জানিয়েছেন।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, দোমহানি শ্মশানে চুল্লি বসানোর কাজ চলছে। রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুড়িয়াতেও একটি করে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসবে। যত দিন না ওই সব এলাকার কাজ শেষ হচ্ছে, তত দিন বার্নপুরের চুল্লিই ব্যবহার করা যাবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানান।
মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, প্রাথমিক ভাবে কালাঝরিয়া ও দোমহানিতে চুল্লি বসানো এবং আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘‘এই বছরের শেষে বা নতুন বছরের গোড়ায় কালাঝরিয়ার চুল্লিটি চালু করার চেষ্টা চলছে।’’ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার সুকোমল মণ্ডল জানান, কালাঝরিয়ার জন্য আড়াই কোটি ও দোমহানির জন্য দু’কোটি তিরিশ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। শ্মশানের আধুনিকীকরণের পরে শব-বাহকদের বসার ব্যবস্থা থাকছে। লিফটের সাহায্যে চুল্লি পর্যন্ত শব পৌঁছে দেওয়া হবে।