নালিশ গাফিলতির
Mine

কুনস্তরিয়ায় ভূগর্ভে ফের ধোঁয়া, আগুন

খনি-কর্তাদের একাংশের মতে, ভূগর্ভের ওই অংশে দীর্ঘদিন আগে কেটে রাখা কয়লা পড়েছিল। তাতে বাইরে থেকে অক্সিজেন সংযোগ হওয়ায় ক্রমাগত তাপ তৈরি হয়ে আগুন ধরেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ ০৩:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

আগুন ধরেছে পশ্চিম বর্ধমানের কুনস্তরিয়া কোলিয়ারির ১ নম্বর খনির একাংশে। বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, আপাতত সংশ্লিষ্ট জায়গায় কাজ বন্ধ রেখে আগুন যাতে না ছড়ায় সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

Advertisement

এরিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯-এ ওই একই খনির একই জায়গায় (২১ নম্বর লেভেল/ ২২ নম্বর ডিপের এ ২৯ লেভেল) আগুন ধরেছিল। তার পরে ওই এলাকায় চারটি অস্থায়ী পাঁচিল (‘স্টপিং ওয়াল’) তুলে দেওয়া হয়েছিল। সে বার আগুন ভূগর্ভে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় তিন বছর খনি বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার ফের ধোঁয়া ও আগুন বার হতে শুরু করায় ওই অংশে খনির কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

কিন্তু কেন এই আগুন? খনি-কর্তাদের একাংশের মতে, ভূগর্ভের ওই অংশে দীর্ঘদিন আগে কেটে রাখা কয়লা পড়েছিল। তাতে বাইরে থেকে অক্সিজেন সংযোগ হওয়ায় ক্রমাগত তাপ তৈরি হয়ে আগুন ধরেছে।

Advertisement

এ দিকে, এই ঘটনায় শ্রমিক সংগঠনগুলি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছে। এইচএমএস-এর নেতা সোহরাব আলির অভিযোগ, ‘‘বিধি অনুযায়ী, পড়ে থাকা কয়লায় জল বা রাসায়নিক ছেটানো উচিত। কিন্তু তা করা হয়নি। গত বার আগুন ধরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল।’’ শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, গতবারের দুর্ঘটনার পরেও বিধি মেনে প্রতি রবিবার সংস্থার সুরক্ষা বিভাগ প্রয়োজনীয় নিরীক্ষণ করে না। সিটু নেতা মনোজ দত্তেরও অভিযোগ, ‘‘বুধবার ওই এলাকায় ‘স্টপিং ওয়াল’-এর ছিদ্র থেকে মিথেন গ্যাসের গন্ধ বার হচ্ছিল। তার পরে ঠিক সময়ে তা বন্ধ না করায় বিপত্তি ঘটল। স্টপিং ওয়ালটিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল।’’

তবে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসিএল-এর সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়। তিনি জানান, চারটি অস্থায়ী ‘স্টপিং ওয়াল’ রয়েছে যেখানে, সেখানে জল জমেছে। ফলে, আগুন ধরার আশঙ্কা ছিল না। ‘স্টপিং ওয়াল’-এর ভিতরে মজুত থাকা কয়লা সংগ্রহের জন্য বেশ কিছু দিন ধরে জল তুলে ফেলার কাজ হচ্ছিল। তিনটি ‘স্টপিং ওয়াল’-এর জল তুলে ফেলা হয়েছে। চার নম্বর ‘স্টপিং ওয়াল’-এর জল তুলে ফেলার কাজ চলছিল। জল শুকিয়ে যেতেই পড়ে থাকা কয়লা অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসায় আগুন ধরেছে। তাঁর দাবি, ‘‘এতে আতঙ্কের কিছু নেই। সুরক্ষাজনিত কাজে গাফিলতি থাকলে, বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। ওই অস্থায়ী পাঁচিলগুলি স্থায়ী করা হচ্ছে। ফলে, আর আগুন ধরার আশঙ্কা থাকবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement