জোগান বেশি, দর মিলছে না পাটের

এক দিকে বেড়েছে চাষের উৎপাদন খরচ। অন্য দিকে পোকামাকড়ের উপদ্রব তেমন না থাকায় ফলন হয়েছে বেশি। আর এই দুইয়ের ফেরে বাজারদর তেমন না মেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলার পাট চাষিদের কপালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৩
Share:

চলছে পাট পচানো।—নিজস্ব চিত্র

এক দিকে বেড়েছে চাষের উৎপাদন খরচ। অন্য দিকে পোকামাকড়ের উপদ্রব তেমন না থাকায় ফলন হয়েছে বেশি। আর এই দুইয়ের ফেরে বাজারদর তেমন না মেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলার পাট চাষিদের কপালে।

Advertisement

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বর্ধমানে সাধারণ ভাবে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়, যা থেকে গড়ে এক লাখ ৬০ হাজার বেল পাটের উৎপাদন হয়। কালনায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর ও কাটোয়ায় প্রায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। বিঘা প্রতি ফলনের পরিমাণ ৩ থেকে ৪ কুইন্টাল।

চাষিরা জানান, সাধারণ ভাবে জমি থেকে পাট কেটে এনে জলাশয়ে গাছ পচানো, পাট ছাড়ানো-সহ পুরো প্রক্রিয়ায় বিঘে প্রতি খরচ হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এখন জমি থেকে পাট কাটার কাজ চলছে। এ বার চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না মেলায় জমি লাগোয়া জলাশয়ে পাট পচানো যায়নি। ফলে দূরের জলাশয়ে পাট নিয়ে গিয়ে পচানোর জন্য উৎপাদন খরচ বেশ খানিকটা বেড়েছে বলে জানান চাষিরা।

Advertisement

তাঁদের দাবি, এ বার বাজারে পাটের দর বেশ কম। বর্তমানে কুইন্টাল প্রতি তিন হাজার টাকার মতো দর মিলছে বলে জানান চাষিরা। যদিও শুরুর দিকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্তও দর উঠেছিল। নান্দাইয়ের চাষি নবাব শেখ বলেন, ‘‘এখন পাট বিক্রি করে বিঘা প্রতি জমিতে ৫ থেকে ৭ বাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।’’ চাষিদের দাবি, লোকসান সামাল দিতে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে লাভজনক দরে পাট কেনা হোক।

চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনে গুদামজাত করে ব্যবসা করেন অনেকেই। দাম কমে যাওয়াই বিপাকে পড়েছেন সেই সব ব্যবসায়ীরাও। নান্দাইয়ের প্রাক্তন প্রধান তথা পাট ব্যবসায়ী ইদের আলি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি। বোঝা যায়নি, এত কম সময়ে এতটা দর পড়ে যাবে।’’

কৃষি দফতরের দাবি, এ মরসুমে সে ভাবে পোকামাকড়ের উপদ্রব না হওয়ায় ফলন বেশ ভাল, গড়ে ৪ কুইন্টালের বেশি। কালনা মহকুমা কৃষি দফতরের সহ কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষের দাবি, ‘‘পাটের দর কমার বিষয়টি চাষিরা জানাননি।’’ কংগ্রেসের তরফে যদিও বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে কাছে দরবার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement