ধোঁয়ায় ঢেকেছে খেত। নিজস্ব চিত্র
ধান কাটা হয়ে গেলে পড়ে থাকা খড় পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জমিতেই। পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে এই দৃশ্য আকছার দেখা যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর জেরে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জমিরও ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি কৃষি বিশেষজ্ঞদের।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের দাবি, জমিতে খড় পোড়ানোর ছবি গলসির পারাজ, পুরষা, গলিগ্রাম, সিমনোড়, রায়না, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম-সহ নানা এলাকায় দেখা যায়। কিন্তু কেন এমনটা করা হয়? পুরষার চাষি রাকিবুল হকের দাবি, ‘‘মেশিনে ধান কাটার পরে খড় কাজে লাগে না। বাড়তি খরচ করে তাই আর বাড়িতেও নিয়ে যায় না।’’ গলিগ্রামের আজিজুল হকের আবার দাবি, ‘‘খড় পুড়িয়ে দিলে জমিতে তা সারের কাজ করে।’’
যদিও চাষিদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে কৃষি বিশেষজ্ঞদের দাবি। মঙ্গলকোটের কৃষি আধিকারিক উৎপল খেয়ারু জানান, ‘‘জমিতে আগুন দিলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু মারা যায়। জৈব কার্বন পুড়ে গিয়ে মাটির উর্বরা শক্তিও নষ্ট হয়ে যায়।’’ এ ছাড়া খড় পোড়ানোর সময়ে বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
তা হলে পড়ে থাকা খড় নিয়ে কী করা যায়? উৎপলবাবুর পরামর্শ, ‘‘জমির এক কোণে সামান্য গর্ত করে খড় ফেলে রাখলে তা জল পেয়ে জৈব সারে পরিণত হবে। সেটা জমির পক্ষেও ভাল।’’ চাষিদের দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক সচেতনতা প্রচার চালাক কৃষি দফতর। কৃষি দফতরের কর্তাদের আশ্বাস, নিয়মিত ভাবে প্রচার চালানোর বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।