মেমারি রেলগেটে নিত্য যানজট। —নিজস্ব চিত্র।
কাজ শুরুর পরেও দীর্ঘ দিন আটকে ছিল। কিন্তু এ বার কি জিটি রোডের উপর মেমারি রেলগেটে উড়ালপুলের কাজ শুরু হবে? সম্প্রতি পূর্ব রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মেমারির উড়ালপুলটি রেল সম্পূর্ণ নিজের খরচায় করবে। এমনকী জমি অধিগ্রহণের খরচও রেল বহন করবে।
শুধু মেমারি নয়, বর্ধমান-হাওড়া মেন লাইনের রসুলপুর, কর্ড লাইনের জামালপুরের মশাগ্রাম, হুগলির সিমলাঘরেও একই পদ্ধতিতে রেল উড়ালপুল নির্মাণ করার কথা জানিয়েছে। কাটোয়া-ব্যান্ডেল লাইনের ধাত্রীগ্রামে এবং বাহিরখণ্ড-তারকেশ্বরেও রেল সম্পূর্ণ নিজের খরচে উড়ালপুল তৈরি করে দেবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘মানুষের সুবিধার জন্যই রেল কর্তৃপক্ষ উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
রেল সূত্রে জানা যায়, তালিকায় অগ্রাধিকার পেয়েছে মেমারির জিটি রোড। রেলের তরফে সমীক্ষা করা হয়েছে। খুব দ্রুত দরপত্র ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে। রসুলপুর, মশাগ্রাম, সিমলাগড়ের কাজও তাড়াতাড়ি করতে চাইছে রেল। ঘটনা হল, লেভেল ক্রসিং তুলে উড়ালপুল ও ভারী যান চলাচলের মতো আন্ডারপাস গড়ার দিকে নজর দিয়েছে রেল মন্ত্রক। মূলত ট্রেনের গতি বজায় রাখা ও দুর্ঘটনা এড়াতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে জানা যায়, রাজ্য সরকারের সঙ্গেই যৌথ ভাবেই উড়ালপুল তৈরির করার কাজ করে রেল। কিন্তু এই সব লেভেল ক্রসিংয়ের উপরে উড়ালপুল তৈরির ক্ষেত্রে অন্য পথে হাঁটছে রেল।
রেল ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে মেমারি, মশাগ্রাম ও সিমলাগড়ের উপরে উড়ালপুল তৈরির জন্য কয়েক কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে দরপত্র ডেকে কাজের বরাত দেওয়া হয়। ঠিকাদার সংস্থা মেমারি রেলগেটে প্রাথমিক কাজ শুরু করে। তারপরে নকশার গোলমালে কাজ আটকে যায়। আবার মশাগ্রাম, সিমলাগড়ে রেল সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় জমি মিলছিল না বলে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর পূর্ত দফতরের পশ্চিমাঞ্চল চক্র চিঠি দিয়ে রেলকে জানায়।
মেমারিতে দু’টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। একটি শহরের ভিতর কৃষ্ণবাজারে, আর অন্যটি হল জিটি রোডে পুরসভার কাছে। ওই জিটি রোডের উপরেই উড়ালপুল তৈরি হবে বলে রেল জানিয়েছে। শহরবাসীর দাবি, একবার রেলগেট পড়ে গেলে জট কাটাতে ন্যূনতম পৌনে এক ঘণ্টার ধাক্কা। রেলের এই উদ্যোগে ফের আশা দেখছেন মেমারিবাসী।