Eastern Coalfields Limited

উৎপাদনের লক্ষ্যপূরণ না হলেও বৃদ্ধিতে স্বস্তি ইসিএলে

ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, ঝাড়খণ্ডের রাজমহল খোলামুখ খনিতে দৈনিক ৫০-৫৫ হাজার টন পর্যন্ত কয়লা উৎপাদন হত।

Advertisement

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পরপর দু’টি অর্থবর্ষে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হল না ইসিএলের। সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, এর পিছনে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা অন্যতম কারণ। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ইসিএলের উৎপাদন প্রায় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২-‘২৩ ও ২০২৩-’২৪— দু’টি অর্থবর্ষেই ৫১ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে উৎপাদন হয়েছিল ৩৫.২ মিলিয়ন টন। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষে তা হয়েছে ৪৭.৫৬ মিলিয়ন টন। শতাংশের নিরিখে কোল ইন্ডিয়ার মধ্যে সব থেকে বেশি উৎপাদন বৃদ্ধির হার ইসিএলের, দাবি সংস্থার কর্তাদের।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে ৬.৬৩ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন হয়েছে। শুধু ৩১ মার্চ ২.৮ লক্ষ টন উৎপাদন হয়েছে। ইসিএলের এক কর্তা জানান, শুধু মার্চে উৎপাদনে যে সাফল্য, সেই অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। একই ভাবে, খোলামুখ খনিতে কয়লার স্তরে পৌঁছনোর আগে মাটি ও পাথর কাটতে হয়। মাটি ও পাথর খনির পাশে ডাঁই করে রাখা হয়, যাকে ‘ওভারবার্ডেন’ বলা হয়। এ ক্ষেত্রেও শতাংশের নিরিখে বৃদ্ধিতে কোল ইন্ডিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে আছে ইসিএল।

Advertisement

ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, ঝাড়খণ্ডের রাজমহল খোলামুখ খনিতে দৈনিক ৫০-৫৫ হাজার টন পর্যন্ত কয়লা উৎপাদন হত। খনি সম্প্রসারণের জন্য প্রতি বছর এক হাজার একর জমি প্রয়োজন। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা দাবি সংক্রান্ত সমস্যায় প্রায় দু’বছর উৎপাদন বন্ধ ছিল। সমস্যা মেটার পরে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে স্বাভাবিক উৎপাদন হচ্ছে। এখন গড়ে ৪০ হাজার টনের মতো উৎপাদন হচ্ছে। জমি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে পাঁচ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন কম হয়েছে বলে আধিকারিকদের দাবি। তাঁরা আরও জানান, পাট্টায় পাওয়া জমির মালিকদের চাকরির দাবিতে আন্দোলনের কারণে পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি খনি প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ ছিল। তাতে প্রায় দেড় মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ছাড়াও বেশ কিছু খোলামুখ খনির উৎপাদন ঠিকা সংস্থার মাধ্যমে করানো হয়। আগের অর্থবর্ষে লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ ১৬টি ঠিকা সংস্থাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের জন্য প্রায় দেড় মিলিয়ন টন উৎপাদন কম হয়েছে। ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, চলতি অর্থবর্ষ অনেকটা বাধামুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে, আশাবাদী তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement