যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
এক সময়ের দুর্গ বলে পরিচিত এলাকায় দলের ছবিটা এখন আর উজ্জ্বল নয়। লোকসভা আসন গিয়েছে বিজেপি-র দখলে। বিধানসভা বা পুরভোটে দাপট দেখিয়েছে তৃণমূল। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে এমন তৃণমূল-বিজেপি মেরুকরণের পরিস্থিতিতে নানা নির্বাচনে সিপিএমের ঠাঁই হয়েছে তিন নম্বরেও। তবে সেই এলাকা থেকেই সংগঠনের নেতৃত্বে নতুন মুখ বেছে নিল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
ডানকুনিতে ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্মেলনে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী হয়েছেন কুলটির যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সংগঠনের ৫০ বছরের ইতিহাসে নেতৃত্বে তিনিই প্রথম মহিলা মুখ। পদে বসার পরে নিজের এলাকায় সিপিএমের পরিস্থিতি নিয়ে মীনাক্ষীর বক্তব্য, ‘‘ভোটের নিরিখে বামপন্থীদের অবস্থা ভাল নয়, এ কথা ঠিক। তবে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে যাননি বামপন্থীরা। সাহসের সঙ্গে আরও ধাক্কা দিতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলই হবে।’’
কুলটির বাসিন্দা মীনাক্ষীর রাজনীতিতে হাতেখড়ি বাবা সাগর মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। সাগরবাবু কৃষক আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সিপিএমের নানা কর্মসূচিতে দেখা যেত মীনাক্ষীকে। মা পারুলদেবীও দলের মহিলা সংগঠনের নেত্রী। মীনাক্ষী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। এখন কুলটি কলেজে কর্মরত। ছাত্রাবস্থায় এসএফআই করতেন মীনাক্ষী। ২০১২ সালে ডিওয়াইএফের কুলটি জোনাল সম্পাদক হন। সংগঠনের অবিভক্ত বর্ধমান জেলার সহ-সভানেত্রী ছিলেন।
রাজ্য সভানেত্রী হওয়ার পরে মীনাক্ষী বলেন, ‘‘সংগঠন আমার কাছে যা প্রত্যাশা করে সেটা পূরণ করাই আমার কাছে বড় কথা।’’ রবিবার রাজ্য সম্মেলন শেষে নিজের এলাকায় ফিরেই সংগঠনের কাজে নেমে পড়েছেন বলে জানান মীনাক্ষী। তাঁর মতে, এক দিকে শ্রমজীবী পরিবারের যুবক-যুবতীদের বামপন্থী মতাদর্শে আনার চেষ্টা করতে হবে। অন্য দিকে, দৈনন্দিন আপদ-বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। তাহলেই পরিস্থিতি পাল্টাবে। তাঁর কথায়, ‘‘অবক্ষয়ের রাজনীতি থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’