শহর সাজছে আলোয়

শহরের রাস্তা সাজবে আলোর মালায়। দুর্গাপুর পুরসভার দাবি, শিল্প-শহরের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ বিরেধীদের কটাক্ষ, আলো ঝকঝকে রাস্তায় চলতে গেলে কিন্তু হোঁচট খাওয়া দ্বস্তুর। কারণ শহরের অধিকাংশ রাস্তাগুলি সংস্কারের জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৩২
Share:

সন্ধ্যা হলেই আলোর খেলা রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র।

শহরের রাস্তা সাজবে আলোর মালায়। দুর্গাপুর পুরসভার দাবি, শিল্প-শহরের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ বিরেধীদের কটাক্ষ, আলো ঝকঝকে রাস্তায় চলতে গেলে কিন্তু হোঁচট খাওয়া দ্বস্তুর। কারণ শহরের অধিকাংশ রাস্তাগুলি সংস্কারের জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি পুরসভা।

Advertisement

পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহরের প্রধান রাস্তাগুলির ধারে সব বিদ্যুতের খুঁটিগুলি আলার শৃঙ্খল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সূর্য ডুবলেই পথবাতি জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে আলোর খেলা। এর ফলে রাতে দৃষ্টিনন্দন হবে যাতায়াতের পথ। ইতিমধ্যেই ডিভিসি মোড় থেকে স্টেশন যাওয়ার রাস্তা, ৫৪ ফুট রোড-সহ বেশ কিছু রাস্তায় খুঁটিতে আলো লাগানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। জাতীয় সড়কের গাঁধী মোড় থেকে মায়াবাজার হয়ে গ্যামনব্রিজ মোড়গামী রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের প্রধান রাস্তা হ্যানিম্যান সরণিতেও একই ভাবে আলো বসানো হবে। দুর্গাপুরের মেয়র পারিষদ (পূর্ত) প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সৌন্দর্যায়নের জন্যই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে সব কটি বড় রাস্তাতেই এমন আলো লাগানো হবে। এর ফলে দুর্গাপুর আরও নজরকাড়া হয়ে উঠবে।’’

যদিও পুরসভার এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধী নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, সিটি সেন্টার, বিধাননগর, ৫৪ ফুট প্রভৃতি এলাকার প্রধান রাস্তাগুলি বাদে পাড়ার ভিতরের অধিকাংশ রাস্তায় বেহাল। খন্দে ভরা রাস্তার সংস্কারও হয় না দীর্ঘদিন। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুরের বিভিন্ন পাড়াগুলির ভিতরের রাস্তায় পথবাতিও নেই বলে অভিযোগ। কোথাও বা বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও আলো জ্বলে না। বিরোধী দলনেতা শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘রাস্তার ধারের খুঁটিতে আলো না জ্বালিয়ে পাড়ায় পাড়ায় আলো জ্বালানোর করুক পুরসভা।’’ সিপিএমের অভিযোগ, আগে আলো-সহ বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবায় কোনও সমস্যা থাকলে তা বরো অফিসে যোগাযোগ করলেই মিটে যেত। কিন্তু এখন সব কিছুর জন্যই কেন্দ্রীয় ভাবে পুরসভার দ্বারস্থ হতে হয়। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয় না বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement