উচ্ছেদের আগে বিশাল পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় চলছে জায়গা চিহ্নিতকরণ। দুর্গাপুরে অমরাবতীতে। ছবি: বিকাশ মশান।
দুর্গাপুরে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের আবাসন ‘অমরাবতী ডিফেন্স কলোনি’তে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু অভিযুক্তদের আপত্তি ও প্রতিবাদে সে কাজ শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি দুর্গাপুর পুরসভা। তবে সরকারি জমিতে জবরদখল উচ্ছেদে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। শুক্রবার পুলিশের বিশাল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এসডি মুখোপাধ্যায়, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) ও দুর্গাপুর পুরসভার আধিকারিকেরা গিয়ে বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করে দিয়ে এলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সমবায় আবাসন নির্মাণের জন্য ছয়ের দশকে এডিডিএ-র তরফে প্রায় ২৮ একর জমি ‘দুর্গাপুর এক্স-সার্ভিসম্যান কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি’কে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রায় আড়াইশো আবাসিক পরিবার বসবাস করেন কলোনিতে। সেখানে অবৈধ ভাবে গ্যারাজ, স্টোররুম, সাধারণের শৌচাগার-সহ অন্য নির্মাণ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়, ২০২৩-এর অগস্টের শেষ দিকে আবাসিক সমিতিকে সব অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা করা হয়নি। এর পর সেপ্টেম্বরে কলকাতা হাই কোর্ট সেগুলি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। তার পরে পুরসভার লোকজন বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করতে গিয়ে কার্যত বাধার মুখে ফিরে আসতে বাধ্য হন। অবরোধ, বিক্ষোভ হয়।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান সরকারি আধিকারিকেরা। এ দিন কেউ বাধা দিতে আসেননি বলে দাবি। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় ২২টি দোকান, কিছু নির্মীয়মাণ দোকান, গ্যারাজ, গুদাম-সহ নানা অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জানান, অমরাবতী ডিফেন্স কলোনিতে বেশ কিছু অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। সেগুলি সব চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পর উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ হবে।