TMC

সাজাপ্রাপ্তদের সরানোর দাবি 

জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সাজা মকুবের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৬
Share:
আক্রান্তের বাড়ির সামনে পুলিশের পাহারা।

আক্রান্তের বাড়ির সামনে পুলিশের পাহারা। ছবি: উদিত সিংহ।

সাজাপ্রাপ্তরা জেলে গেলে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পদ থেকে তাঁদের সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সরকারি পদের ক্ষেত্রে সাজাপ্রাপ্তকে সরিয়ে নতুন কাউকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। বর্ধমান আদালত শুক্রবার বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) চেয়ারম্যান কাকলি তা, রায়ান ১ পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ, বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্যদের সাজা ঘোষণা করেছে। তাঁরা ওই নিয়মের আওতায় পড়বেন বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও কাকলির সাজা তিন বছরের কারাদণ্ড হওয়ার কারণে, শুক্রবার জামিন পেয়েছেন। মানস, কার্তিক-সহ ১২ জনের ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তবে তৃণমূল এখনই এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ।

Advertisement

জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সাজা মকুবের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। বাকি বিষয় দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের আইন এবং বিডিএ-র নিয়ম কী বলছে, তার আইনি ব্যাখা দেখার পরেই জেলা প্রশাসন রাজ্য স্তরে বিশদ রিপোর্ট পাঠাবে। যদিও বিরোধীদের দাবি, সোমবার দোষী সাব্যস্ত ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার সাজা দিয়েছে আদালত। নিয়ম মানার ক্ষেত্রে তৃণমূলের যে অনীহা রয়েছে, তা টালবাহানায় স্পষ্ট— অভিযোগ বিরোধীদের।

সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “যে কোনও দায়িত্বশীল দল সাজাপ্রাপ্তদের পদ থেকে সরিয়ে দিত। কিন্তু তৃণমূল তাঁদের অপসারণ তো দূর, হয়তো আরও বড় পদ দেবে। নিয়মকানুন না মেনে অরাজকতা তৈরিই ওদের মূল কথা।” বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তায়ের দাবি, “ভোট লুটেরাদের তৃণমূল সরাবে, তা হয় নাকি! দলের কর্মীকে মেরে সাজা পেলেও তাঁদের সাদরে রেখে দেওয়া হবে। এটাই তৃণমূল।”

Advertisement

২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আক্রান্ত হন তৎকালীন তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পাল। তিনি সেই আঘাতে ডান চোখ হারান। ওই ঘটনার পর থেকে প্রায় ৮ বছর ধরে বর্ধমানের কাছে নাড়ি গ্রামে থাকতে পারছিলেন না, নানা জায়গায় দেবু ও তাঁর পরিবার যাযাবরের মতো ঘুরেছেন। ১৩ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে, মঙ্গলবার পুলিশের পাহারায় তাঁরা বাড়ি ফেরেন। শুক্রবার সাজা ঘোষণা হয়েছে। শনিবার দেবু বলেন, “এত দিন নানা জায়গায় ঘুরতে হয়েছে। রায় ঘোষণার পরে পুলিশের নিরাপত্তায় বাড়ি এসেছি।” এ দিন নাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দেবুর বাড়ির কাছে পুলিশ পাহারায়। তবে এলাবাসীর বড় অংশই আপাতত দেবুর বাড়ি থেকে ‘দূরে’ থাকছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement