রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা রড বোঝাই একটি ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মেরেছিলেন মোটরবাইক আরোহী। গলা ফুঁড়ে যায় একটি রড। পুলিশকর্মীদের একাংশ তোলা আদায়ের জন্য ট্রেলারটিকে রাস্তায় দাঁড় করানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমন অভিযোগে কুলটির ডিসেরগড়ে বুধবার ঘণ্টা ছয়েক পুরুলিয়া-বরাকর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা।
পুলিশ জানায়, মৃত নাসিম খানের (৩৫) বাড়ি ডিসেরগড়ের সাকতোড়িয়া কলোনি মোড় এলাকায়। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ডিসেরগড় থেকে মোটরবাইকে চড়ে পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। দুই জেলার সীমানায় ডিসেরগড় সেতুতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসীর দাবি, নাসিমের মোটরবাইকের আগে যাচ্ছিল ওই ট্রেলারটি। সেতুতে সেটি হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে। তখনই তার পিছনে ধাক্কা দেন নাসিম। ঘটনাস্থলে হাজির টহলদার পুলিশ তাঁকে জিপে করে হারমাড্ডি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল থেকেই এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেতুর মুখে পুলিশকর্মীদের বিশ্রাম নেওয়ার একটি ঝুপড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন কুলটির কংগ্রেস কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ না করে পুলিশের একাংশ লরি, ট্রেলার থেকে তোলা আদায় করে। ফলে, প্রায় দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে।’’ মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও তোলা আদায়ে জড়িত পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবি তোলেন বাসিন্দারা।
বিক্ষোভ-অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) অগ্নিশ্বর চৌধুরী এবং এসডিপিও (রঘুনাথপুর) গোপাল গোস্বামী। পুলিশ আধিকারিকেরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। পরে এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ওঁরা আমাদের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির কথা বলেননি। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ-সহ তিনটি দাবি জানিয়েছেন। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’