প্রতীকী ছবি।
অসুস্থতার সুযোগে মেয়ে, জামাই ও নাতির বিরুদ্ধে ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর জেনে টাকা হাতানোর অভিযোগ করলেন বৃদ্ধা। কেতুগ্রামের পাঁচুন্দির ঘটনা। অভিযুক্ত তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের লাভপুরের ফুল্লরাতলার বাসিন্দা সন্ধ্যারানি কর ওই অভিযোগ করেছেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, অগস্টের গোড়ায় পাঁচুন্দিতে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন তাঁর স্বামী বিজয় কর। সেখানে এসে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। স্বামীর অসুস্থতার কথা শুনে ছেলে আশিস করকে নিয়ে ছুটে আসেন সন্ধ্যাদেবী। বিজয়বাবুর চিকিৎসার বন্দোবস্তোও করা হয়। অভিযোগ, এই সুযোগে বিজয়বাবুর সঙ্গে থাকা ডায়েরিতে লেখা ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর জেনে কার্ডটি হাতিয়ে নিয়ে নেন জামাই কৃপাসিন্ধু দে। বিজয়বাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ও বিজয়বাবুর ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সন্ধ্যারানির দাবি, পাঁচ দিনের মধ্যে মেয়ে, জামাই ও নাতি তিন জন মিলে এই প্রতারণা করেছে।
ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘স্বামী সুস্থ হওয়ার পরে পাঁচুন্দী গিয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ওই টাকা বাবার চিকিৎসার জন্য খরচ করেছে। কিন্তু সে আদৌ চিকিৎসার জন্য কোনও টাকাই দেয়নি। পুরো খরচ করেছে ছেলে আশিস।’’ পরে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের বাড়ি থেকে ধরা হয় সন্ধ্যারানি দেবীর মেয়ে বছর বিয়াল্লিশের মিঠু দে, জামাই বছর চুয়ান্নর কৃপাসিন্ধু ও নাতি বছর কুড়ির সুরজিৎ দে-কে। শুক্রবার ধৃতদের কটোয়া আদালতে তোলা হলে মিঠুদেবীর চার দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত ও তাঁর স্বামী ও ছেলের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।