আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের নাম। —ফাইল চিত্র।
আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি নিয়ে বিতর্কে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। ঘর পাওয়ার যোগ্য নন, এমন অনেকের নাম উপভোক্তা-তালিকায় জায়গা পেয়েছে, এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসকদলকে লাগাতার নিশানা করে চলেছে বিরোধীরা। অনেকের দাবি, তালিকায় জুড়েছে ‘ভূতুড়ে’ নাম। সেই আবহেই এ বার আবাসের তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের নাম থাকাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ত শুরু হল। অভিযোগ, আবাস যোজনায় বছর দুই আগেই বাড়ি পেয়েছিলেন তিনি। তার পরও নতুন তালিকায় সেই পঞ্চায়েত প্রধানের নাম রয়েছে এক নম্বরে। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে তালিকা থেকে পঞ্চায়েত প্রধানের নাম বাদ দেওয়া হবে।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান হারু দাসের নাম নতুন আবাস তালিকায় থাকাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই হারুর সাফাই, তালিকায় নিজের নাম আছে জানতে পেরেই সমীক্ষক দলকে নিয়ম মতো ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। যদিও নাম বাদ দেওয়ার ব্যাপারে এখনও লিখিত ভাবে কোনও আবেদন করেননি হারু।
২০১৮ সালে আবাস যোজনার জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তাতে নাম ছিল আমডাঙ্গার বাসিন্দা হারুর। সেই তালিকা মতো ২০২২ সালে আবাস যোজনার ঘর পেয়েছিলেন তিনি। তবে তার পরেও ২০২৪ সালে জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের আবাস তালিকায় তাঁর নাম এক নম্বরে থাকায় হইচই পড়ে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি প্রধানকে বলেছি বাড়ি না নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে লিখিত দরখাস্ত দিতে। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে নিয়মানুসারে আবাস তালিকা থেকে হারু দাসের নাম বাদ যাবে।’’