কাটোয়া ১ ব্লকে প্রকল্প পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল। নিজস্ব চিত্র
আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন কেন্দ্রের দলের সদস্যেরা। শনিবার সকালে খণ্ডঘোষের উখরিদ পঞ্চায়েতের এনায়েৎনগরে ওই প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকায় নাম থাকা পরিবারগুলি সুবিধা পাওয়ার যোগ্য কিনা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখনই তাঁদের কয়েক জন গ্রামবাসী প্রশ্ন করেন, ‘‘বাড়ির অবস্থা তো দেখতেই পাচ্ছেন। ছবি তোলা হয়েছে। বারবার অফিসাররা আসছেন। কিন্তু বাড়ি তৈরির টাকা আসছে না। কবে টাকা পাব, বলতে পারবেন?’’ উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বলতে শোনা যায়, এ নিয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। বিকেলে কাটোয়া ১ ব্লকের সরগ্রামেও গিয়েছিলেন তাঁরা।
উখরিদ ও এনায়েৎনগরে আবাস প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নির্মিত কম-বেশি ৩০টি এবং সরগ্রামের মাঝিপাড়ায় দশটি বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। বাড়ির সামনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে কি না, দেখে নেন। পাশাপাশি, জব কার্ড, আধার কার্ড ও ব্যাঙ্কের পাসবইও খুঁটিয়ে দেখেন। বাড়ি তৈরিতে কত সময় লেগেছে, কবে শেষ হয়েছে, টাকা পেতে অসুবিধা হয়েছে কি না, প্রথম টাকা কবে মিলেছে, এমন নানা প্রশ্ন করেন উপভোক্তাদের। এমনকি, বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে কাউকে ‘উপঢৌকন’ দিতে হয়েছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের উপভোক্তাদের তালিকায় নাম থাকা পরিবারগুলি আদৌ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য কিনা, তা খতিয়ে দেখতে খণ্ডঘোষে দশটি এবং সরগ্রামে তিনটি বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রের আধিকারিকেরা। এনায়েৎপুরের সঞ্জয় পণ্ডিত, সুদেব পণ্ডিত তাঁদের কাছে জানতে চান, “বিডিও অফিস ও জেলা থেকে বারবার বাড়ি দেখতে আসছে। এ বার আপনারা এলেন। কবে টাকা পাব, বলতে পারবেন?” কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা জানান, তাঁদের শুধু বাড়ি দেখতে বলা হয়েছে।
কাটোয়া ১ ব্লক কার্যালয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। মহকুমাশাসক (কাটোয়া) অর্চনা পন্ধরিনাথ ওয়াংখেড়ে এবং বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেননি প্রশাসনের কোনও আধিকারিক।