মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে চার দিন ধরে টানা অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর চোলাই। কালনা মহকুমায় চোলাই কারবারে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জনা চল্লিশকে। এলাকার নানা প্রান্তে চোলাই ও বেআইনি মদের কারবার চলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার অবস্থান-বিক্ষোভ করল কংগ্রেস। এ দিনই মন্তেশ্বরে চোলাই কারবারের অভিযোগে তিন জনকে ধরেছে পুলিশ।
এ দিন কালনার লিচুতলা এলাকা থেকে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা মিছিল করে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছন। সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোবকারীদের দাবি, শান্তিপুরে কয়েক জনের মৃত্যুর ঘটনার পরে এই এলাকার বড় চোলাই কারবারিরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, শুধু চোলাই নয়, শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেআইনি ভাবে দেদার মদ বিক্রি হচ্ছে। এক শ্রেণির মদ বিক্রেতা ফোনে যোগাযোগ করে নানা জায়গায় মদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। নানা দোকানে, রাস্তার পাশে, হোটেলে বেআইনি মদ বিক্রি চলছে। সন্ধ্যার পরে মত্ত অবস্থায় কালনা শহরে দ্রুত গতিতে কিছু যুবক মোটরবাইক ছোটায় বলেও তাঁদের অভিযোগ। তাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন পথচারীরা।
বিক্ষোভ শেষে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে দু’জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেয়। তারা অভিযোগ করে, এলাকার চোলাই বিক্রেতারা ইটভাটাগুলির শ্রমিকদের চোলাই বিক্রি করছে। আশাকর্মীদের নিয়ে ইটভাটাগুলিতে প্রচার চালানো প্রয়োজন বলে তাদের দাবি। কালনা মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের কথায়, ‘‘ভিন্ রাজ্য থেকে আসা অনেক শ্রমিক নেশাগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রশাসন সচেতনেতামূলক প্রচারে নামলে সুরাহা হবে।’’ এ দিনের বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে ছিলেন দলের নেতা সুশীল ধর, মজনু মণ্ডল, সুশীল পাখিরা। মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ বিশ্বাসের আশ্বাস, অভিযোগগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
মন্তেশ্বরে ফের চোলাই বিক্রির অভিযোগে পুলিশ রাম মাঝি, মানিক দাস ও সুভাষ দাস নামে সুটরা এলাকার তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬৫ লিটার চোলাই ও নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। মন্তেশ্বরে গত তিন দিনে চোলাই কারবারে জড়িত অভিযোগে প্রায় কুড়ি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।