গলসি ১ ব্লকের পারাজের এই কাঠের সেতু নিয়েই অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
কাঠের সেতু পারাপারে মোটা টাকা টোল আদায়ের অভিযোগ তুলে বিডিও-র দারস্থ হলেন স্থানীয় ট্রাক চালকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি ভাবে টোল কত, তা জানানো হয়নি। কিন্তু কাঠের সেতু কর্তৃপক্ষ ট্রাক পিছু ২৫০ টাকা টোল নিচ্ছেন।
গলসি ১ ব্লকের পারাজ সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বল। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মেনে তিন টনের বেশি জিনিস নিয়ে কোনও যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারে না সেতুটির উপর দিয়ে। তাই ডিভিসি সেচখাল পারাপারের জন্য পারাজ সেতুর ঠিক পাশে বছর তিনেক আগে গড়ে ওঠে কাঠের সেতুটি। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দামোদর নদের শিল্ল্যা, সোদপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায় বালি খাদান রয়েছে। সেখান থেকে বালিবোঝাই ট্রাক ওই সেতু পেরিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে। ওই সেতুতেই টোল নেওয়া হয়। সেতুটি সেচ দফতরের অধীনে।
গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফজিলা বেগম বলেন, ‘‘সেচ দফতরের নির্দেশে টোল নেওয়া হয় বলে, শুনেছি। ট্রাক পিছু ২৫০ টাকা ও অন্য যানবাহনে ২০০ টাকা করে টোল নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোন যানবাহনে কত টোল, তার তালিকা দেওয়া নেই সেতুতে। ফলে, ঠিক নিচ্ছে না বেশি নিচ্ছে, কেউ জানে না।’’ তাঁর দাবি, অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্থানীয় ট্রাক মালিক আশারুল মোল্লা, আজিজুল মিয়া বলেন, ‘‘তেলের দাম বেড়েছে। এমনিতেই ট্রাক চালিয়ে লোকসানে হচ্ছে। তার পরে একটা ট্রাকে আড়াইশো টাকা টোল দিতে অসুবিধা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের কাছে আপত্তি জানিয়েছি।’’
বিডিও (গলসি ১) দেবলীনা দাস বলেন, ‘‘ওই খালের উপরে কাঠের সেতুটি সেচ দফতরের অধীনে। সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে টোলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’