Asansol TMC

ভোট না মেলায় এলাকায় বন্ধ কাজ, নালিশ

এলাকায় প্রায় তিন হাজার বাসিন্দার বাস। পুরপ্রতিনিধি সমিতের দাবি, এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কয়েক বছর আগে ৬৭ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প পুরসভায় জমা করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৩
Share:

বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

পাকা রাস্তা, নর্দমা ও পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণে এখানে কোনও কাজ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুরপ্রতিনিধি, অভিযোগ আসানসোলের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দপল্লির বাসিন্দাদের একাংশের। মঙ্গলবার প্রায় চার ঘণ্টা নরসমুদা-বড়তোড়িয়া রোড অবরোধ করেন তাঁরা। ঘেরাও করেন পুরপ্রতিনিধির কার্যালয়। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি সমিত মাজির আশ্বাস, সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে নিত্যানন্দপল্লি গড়ে উঠেছে। তাঁদের ক্ষোভ, কিন্তু এখনও রাস্তা পাকা করা হয়নি। কোনও নর্দমা নেই। বৃষ্টি ও এলাকার নোংরা জল সেখানে সেখানে জমা হয়ে থাকে। কাঁচা রাস্তা দিয়েই মানুষজনকে পারাপার করতে হয়। বর্ষাকালে অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়। এলাকাবাসী অঞ্জু গুপ্তের দাবি, “পুরপ্রতিনিধিকে রাস্তা, নর্দমা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথা বললেই, তিনি বলেন, এলাকা থেকে তাঁর দল তৃণমূল লোকসভায় ভাল ভোট পায়নি। তাই কোনও কাজ করতে পারবেন না।” আর এক বাসিন্দা লাল্টু মিত্র বলেন, “বাড়ি থেকে প্রায় সাতশো মিটার দূরের টাইম কল থেকে জল বয়ে আনতে হয়। পুরসভার জল প্রকল্পের সংযোগ এখনও দেওয়া হচ্ছে না।”

এলাকায় প্রায় তিন হাজার বাসিন্দার বাস। পুরপ্রতিনিধি সমিতের দাবি, এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কয়েক বছর আগে ৬৭ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প পুরসভায় জমা করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রকল্পের দরপত্র ডাকা হয়নি। দু’বছর আগে ফের ২৬ লক্ষ টাকার আরও একটি প্রকল্প জমা করা হয়। সেটির টেন্ডার আজও ডাকা হয়নি। কিন্তু কেন? সমিত বলেন, “মেয়রকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছি।” মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, ওই এলাকায় কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, তা পুরপ্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব।

Advertisement

এই ওয়ার্ডের ১২টি বুথের সবেতেই তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। সমিতের দাবি, “ভোট কম পাওয়ার জন্য কাজ না করার অভিযোগ ঠিক নয়। আমি কখনও এমন মন্তব্য করিনি।” বিজেপি নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ সব রটাচ্ছেন, দাবি তাঁর। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে বিজেপিকে দোষ দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement