জলমগ্ন পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন হিমঘর চত্বর। ছবি: বিপ্লব ভট্টাচার্য
এলাকায় বেশ কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছিল হিমঘর। তাতে কাঁকসা, আউশগ্রাম, বুদবুদের চাষিরা উপকৃত হতেন। কিন্তু, নানা জটিলতায় বছর দশেক আগে বন্ধ হয়ে যায় পানাগড় সংলগ্ন ওই হিমঘরটি। বছর তিনেক ধরে সেটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এখন নতুন সমস্যায় হিমঘর কর্তৃপক্ষ। বর্ষার জমা জল প্রায় বছরভর জমে থাকায় হিমঘর এখনও চালু করা যাচ্ছে না বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদনও করেছেন তাঁরা। আউশগ্রাম ২ ব্লক প্রশাসনের তরফে সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বহু মানুষ কৃষিকাজে যুক্ত। ধানের পাশাপাশি আলু সহ বিভিন্ন অনাজের চাষ হয়ে থাকে জেলায়। বিশেষ করে কাঁকসা ব্লকে। তবে জেলায় হিমঘর না থাকায় চাষিদের সমস্যা হয়। এই পরিস্থিতিতে বাম আমলে পানাগড় ভাঙা গেটের অদূরে বুদবুদ এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে হিমঘর চালু করা হয়। এতে কাঁকসা ছাড়াও বুদবুদ, আউশগ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা সহজে আলু রাখতে পারতেন। কয়েক বছর চলার পরে নানা জটিলতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। কাঁকসার চাষিরা জানান, এই অবস্থায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গলসি, আউশগ্রাম এলাকার হিমঘরে যেতে হয়। এতে পরিবহণ খরচ বেড়ে যায়। তাই জোরালো হয় হিমঘর চালুর দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে হিমঘরটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। হিমঘরের ম্যানেজার গদাধর কুম্ভকার জানান, নিকাশি ব্যবস্থা ভাল না থাকায় সারা বছর হিমঘর চত্বরেই জল জমে থাকে। তাঁর কথায়, ‘‘এমন ভাবে জল জমে আছে যে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে না।’’ হিমঘরের কর্মী পঞ্চানন সেনগুপ্ত জানান, জমা জলের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ, অফিস ঘর সংস্কার করা যাচ্ছে না। তাঁর দাবি, তিন বছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে সমস্যার বিষয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কাজ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘হিমঘর চালু হলে চাষিদের যেমন সুবিধে হবে তেমনই এলাকায় কর্মসংস্থান হবে।’’
হিমঘর চালু নিয়ে সরব এলাকার চাষিরাও। শেখ শরিফ মণ্ডলের কথায়, ‘‘হিমঘর চালু হলে আমাদের মতো চাষিদের খুব সুবিধা হয়। প্রশাসন দ্রুত এটি চালু করুক।’’ বিডিও (আউশগ্রাম ২) চিন্ময় দাস বলেন, ‘‘সমস্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে।’’