একুশ ফুটের রাম মূর্তি তৈরি কালনায়। নিজস্ব চিত্র।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে কালনার জিউধারার রেলগেট লাগোয়া আরএমসি বাজারের পাশে বসবে রামলালার মূর্তি। মাস দুয়েকের চেষ্টায় সেটি তৈরি করেছেন কালনার শিল্পী জগৎ মণ্ডল। তাঁর দাবি, প্রায় ২ কুইন্টাল ওজনের ১৪ ফুটের মূর্তিটি রবিবার তুলে দেওয়া হবে উদ্যোক্তাদের হাতে।
মূর্তি উদ্বোধনের আড়ালে বিজেপি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবপ্রসাদ বাগের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। আমরা সব ধর্মকে সমান শ্রদ্ধা করি।’’ যদিও বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।
শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখে গিয়েছে, মূর্তি বসানোর জন্য তৈরি হচ্ছে পাঁচ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের বেদি। কয়েক জন সেটি মাটি ফেলে ভরাট করছেন। বেদির পাশে উড়ছে কয়েকটি পতাকা। বেদির আশপাশে ভিড় করেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মূর্তি বসানোয় উদ্যোগী হয়েছিলেন বিজেপির এক নেতা। ওই উদ্যোগে তিনি পাশে পেয়েছেন আরও কয়েক জন দলীয় নেতা-কর্মীকে।
বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি অনিমেষ সরকার বলেন, ‘‘অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন এখানে গীতাপাঠ, যজ্ঞ-সহ বেশ কিছু অনুষ্ঠান হবে। বিলি করা হবে প্রসাদ।’’ পলাশ মণ্ডল নামে আর এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘রামচন্দ্র ১৪ মাস বনবাস কাটিয়ে ফিরেছিলেন। সে কারণে মূর্তির উচ্চতা ১৪ ফুট করা হয়েছে।’’
শহরের চড়কতলা এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, জগতের সঙ্গে মূর্তি গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছেন পাঁচ জন। তাঁরা জানান, অয্যোধ্যার রামলালার মূর্তির সঙ্গে এই মূর্তির তেমন মিল নেই। লোহার চাদরের উপরে মূর্তি বসানো হবে।
রাম থাকবেন রাজবেশে, হাতে তির, ধনুক নিয়ে। শিল্পী জানিয়েছেন, প্রথমে মূর্তিটির একটি প্রতিরূপ তৈরি হয়েছিল।
গোপাল বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি মূর্তিটি দেখতে প্রচুর মানুষ আসবেন। এ ধরনের মূর্তি এই সাংগঠনিক জেলায় আর কোথাও হয়নি। ওই দিন পাড়ায় পাড়ায় বহু রামলালার মাটির মূর্তির পুজো হবে। প্রদীপ জ্বালিয়ে অকাল দীপাবলি পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে সকলকে।’’
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে খোকনলাল বিশ্বাস জানান, ২২ জানুয়ারি পাটুলি শিবমন্দির, বহরা শিবমন্দির, পাটুলি স্টেশন বাজার, বজরংবলির মন্দির, জামালপুর বুড়োরাজ মন্দির-সহ বিভিন্ন মন্দির থেকে ভোগ বিতরণ হবে। নগরকীর্তন, যজ্ঞ-সহ নানা অনুষ্ঠানও হবে।