এই দুলটিই গিলে ফেলেছিল শিশুটি। নিজস্ব চিত্র
মামারবাড়িতে খেলছিল একরত্তি মেয়ে। হাতের কাছেই রাখা ছিল মায়ের কানের দুল। তা মুখে যেতেই বিপত্তি। আটকে যায় খাদ্যনালীতে। রানিগঞ্জের তারবাংলার ঘটনা। শেষমেশ রানিগঞ্জের নেতাজি সুভাষ বসু রোডের ধারে একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার করে বের করা হল সেই কানের দুল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রানিগঞ্জের রনাই বম্বা কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ সবীরের স্ত্রী জেরিনা বিবি এক বছর এক মাসের শিশুকন্যা গোসিয়াকে নিয়ে কয়েক দিন আগে বাপের বাড়ি তারবাংলায় যান। জেরিনা জানান, শুক্রবার বিকেলে বাড়ির বারান্দায় খেলছিল গোসিয়া। আর তার পরেই সেই বাড়ির বউ রেজিনা বেগম লক্ষ করেন কিছু একটা মুখে পুরে গোসিয়া কান্না জুড়েছে। জেরিনা বলেন, ‘‘কানের দুলটা খুঁজে না পেয়ে বুঝতে পারি, সেটিই গিলে ফেলেছে মেয়ে।’’ দ্রুত ওই শিশুকন্যাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইএনটি বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ ঘোষের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘সময় নষ্ট না করে এক জন অ্যানাস্থেসিস্ট ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে নিয়ে এন্ডোস্কোপি পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করি। তার পরে প্রায় ৫ সেন্টিমিটার কানের দুলটি বের করা হয়।” নার্সিংহোম সূত্রে জানা যায়, দুলটি আটকে গিয়েছিল শিশুটির খাদ্যনালীতে।
এই অস্ত্রোপচার কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? বিষয়টি শুনে কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন শিশুমঙ্গল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিতাভ রায়চৌধুরী বলেন, “এটা বেশ জটিল অস্ত্রোপচার। কারণ কানের দুলের ধাতব ধারাল দিকটির খোঁচায় খাদ্যনালী ফুটো হয়ে যেতে পারে। তা থেকে মৃত্যুও ঘটতে পারে। চিকিৎসকেরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।’’