নজরে আসানসোল-সহ ১৭টি পুরসভা
CBI Asansol

পুর-ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ নিয়ে চিঠি সিবিআইয়ের

সিবিআই সূত্রে জানা যায়, রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার তদন্তে এ বার সিবিআইয়ের নজরে এল আসানসোল পুরসভা। সরকারি সূত্রের খবর, পুরসভায় ‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ (এসএই) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের ‘মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট’ (এমইডি) কী ধরনের কারিগরি সহায়তা করেছিল, তার যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে সিবিআই।চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে এমইডি দাবি করেছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত তথ্য সিবিআইয়ের কাছে জমা করা হবে। যদিও মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, এমন কোনও চিঠি তাঁরা পাননি।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে জানা যায়, রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গত বছর ২১ এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্টের একটি নির্দেশের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামা হয়। গত ২১ অক্টোবর রাজ্যের ‘মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টরেট’-এর ভারপ্রাপ্ত সচিবকে আসানসোল-সহ রাজ্যের ১৭টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত ‘দুর্নীতি’র তদন্ত নিয়ে চিঠি পাঠায় সিবিআই। সিবিআইয়ের ডিএসপি মলয় দাসের স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পুরসভাগুলিতে ‘এসএই’ নিয়োগের ক্ষেত্রে এমইডি কী ধরনের কারিগরি সহায়তা করেছিল, তার খুঁটিনাটি তথ্য সিবিআইকে জানানো হোক। প্রায় ছ’টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য— নিয়োগের ক্ষেত্রে এমইডি-র বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা কী ছিল? কী কী কারিগরি সহায়তা করা হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা জমা করতে হবে। পুরসভাগুলি কি এমইডি-র কাছে কারিগরি সহায়তা চেয়েছিল? যদি চেয়ে থাকে, তবে সেই সংক্রান্ত পুরসভাগুলির কাছ থেকে পাওয়া আসল চিঠি জমা করতে হবে। এর প্রেক্ষিতে পুরসভাগুলিকে পাঠানো এমইডি-র চিঠি ও বিভিন্ন তথ্য জমা করতে হবে ইত্যাদি। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে এ সব তথ্য সিবিআই দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমইডি-র আসানসোল ডিভিশনের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অসীম দাস বলেন, “চিঠি পেয়েছি। সিবিআইয়ের প্রশ্নের উত্তর নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের পরে পুরসভায় এখনও পর্যন্ত সাত জন ‘এসএই’ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। সিবিআই এমইডিকে চিঠি পাঠানোর পরে এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে পুরসভায়। পুরসভার একটি সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষের তরফে এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে এমইডিকে কোনও চিঠি লেখা হয়েছিল কি না কিংবা কী কী তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করা হয়েছে।

মেয়র বিধান বলেন, “শুনেছি এমইডি-র কাছে সিবিআই চিঠি পাঠিয়েছে। পুরসভার কাছে যদি কিছু জানতে চাওয়া হয়, তা সিবিআইকে প্রয়োজন মতো জানানো হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement