কোর্টের নির্দেশেও চলছে না কেব্‌ল

আদালত রায় দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও কেবলে্‌র সম্প্রচার স্বাভাবিক হল না বলে অভিযোগ কাটোয়া-দাঁইহাটের বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৬
Share:

আদালত রায় দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও কেবলে্‌র সম্প্রচার স্বাভাবিক হল না বলে অভিযোগ কাটোয়া-দাঁইহাটের বাসিন্দাদের। সূত্রের খবর, কেব্‌লের সাবস্ক্রিপশনের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে এমএসও (মাল্টি সিস্টেম অপারেটর) ও স্থানীয় অপারেটরদের মধ্যে গোলমালের জেরেই গত দু’দিন ধরে সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

এলাকার কেবল অপারেটরর্স ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতার একটি এমএসও সংস্থার কাছ থেকে কেবলে্‌র সংযোগ নেন কাটোয়ার ২৪ জন ও দাঁইহাটের ১২জন স্থানীয় কেবল অপারেটর। তাঁরা কাটোয়ার ২৫ হাজার ও দাঁইহাটের ৭ হাজার গ্রাহককে কেবল্‌ সংযোগ দেন। এর জন্য গ্রাহক পিছু মাসে ২৫ টাকা করে ভাড়া দিতে হয় এমএসও সংস্থাকে। অভিযোগ, এমএসও সংস্থার তরফে আচমকা ৭০টাকা করে ভাড়া দাবি করা হয়।

এরপরেই গোলমাল বাধে। স্থানীয় কেবল্ অপারেটর আশিস দত্ত, মিন্টু দেবনাথদের অভিযোগ, ‘‘আচমকা টাকা বাড়ানোর কথা তো গ্রাহকদের বলা সম্ভব নয়। এমএসও সংস্থা বিনা নোটিসে গত ৩০ নভেম্বর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।’’ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অপারেটরেরা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার তাঁরা এমএসও সংস্থার বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারক চন্দ্রাণী চক্রবর্তী নির্দেশ দেন, যাঁদের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে তা চালু করতে হবে। যাঁদের পরিষেবা এখনও বন্ধ হয়নি, তা যেন কোনও ভাবেই বন্ধ না হয়।

Advertisement

অভিযোগ, বিচারকের নির্দেশের পরেও পরিষেবা দিচ্ছে না কলকাতার ওই এমএসও সংস্থাটি। গৌরাঙ্গপাড়ার নান্টু দে, সলীল দাসদের মতো গ্রাহকেরা বলেন, ‘‘খবর, খেলা, সিনেমা কিছুই দেখতে পারছি না। অবসর বিনোদনটুকুও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ এমএসও সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement