Kali Puja 2023

শ্মশানকালী কার? আগে পুজো দেওয়া নিয়ে যুযুধান দুই দল, দীপাবলির রাতে মাথা ফাটল পুলিশের

শ্মশানকালী মন্দিরের পুজো এক সময়ে একসঙ্গেই করতেন এই দুই ক্লাবের সদস্যরা। কিন্তু এখন তারা দু’টি আলাদা গোষ্ঠী। পুজোয় আগে কার অধিকার এই নিয়েই রবিবার রাতে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:২৮
Share:
পুলিশের মাথায় আঘাত। মাথা ফেটেছে ক্লাব সদস্যেরও।

পুলিশের মাথায় আঘাত। মাথা ফেটেছে ক্লাব সদস্যেরও। —নিজস্ব চিত্র।

পুজো একটিই। তবে সেই পুজো যাঁরা করেন, তাঁদের দু’টি গোষ্ঠী। রবিবার কালীপুজোর রাতে আচমকাই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল বেধে গেল। কোন পক্ষ আগে পুজো দিতে পারবেন, তা নিয়ে বচসা প্রথমে গড়াল হাতাহাতিতে। শেষে লাঠিসোঁটা ইট-পাটকেল নিয়ে একে অপরের উপর চড়াও হল দু’পক্ষ। মাথা ফাটল স্থানীয় বাসিন্দাদের। মাথা ফাটল পুলিশেরও।

Advertisement

রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে মহিষ্কাপুর প্লটের শ্মশানকালী মন্দিরে। মন্দিরে তখন পুজো করছিলেন এলাকার অগ্রণী ক্লাবের সদস্যরা। সেই সময়েই ঘটনার সূত্রপাত। এলাকার আরও একটি ক্লাব প্রভাত সঙ্ঘের সদস্যরা দাবি করেন, শ্মশানকালীর মন্দিরে তাদের আগে পুজো করতে দিতে হবে। তা থেকেই ঝগড়ার সূত্রপাত।

এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই শ্মশানকালী মন্দিরের পুজো এক সময়ে একসঙ্গেই করতেন এই দুই ক্লাবের সদস্যরা। কিন্তু এখন দু’টি আলাদা আলাদা গোষ্ঠী। পুজোয় আগে কার অধিকার এই নিয়েই রবিবার রাতে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

অগ্রণী ক্লাবের এক সদস্য রাজীব রায়ের অভিযোগ, আচমকা প্রভাত সঙ্ঘের কয়েকজন তাঁদের উপর ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন এবং হামলা চালান। এই হামলায় বেশ কয়েকজন ক্লাব সদস্য আহত হন। দ্রুত তা বড় অশান্তির আকার নেয়। দুই ক্লাবের সদস্যরাই জখম হন এই ঘটনায়। যদিও প্রভাত সঙ্ঘের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের উপর হামলা চালান অগ্রণী ক্লাবের সদস্যরাই। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

পরিস্থিতি সামাল দিয়ে প্রথমে খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশকে। আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স। দু’পক্ষের সংঘর্ষ সামাল দিতে গিয়ে আহত হন এক পুলিশ কর্মীও। মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। শেষ পর্যন্ত কালীপুজোর রাতেই ঘটনাস্থল থেকে আট জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

পশ্চিম বর্ধমানের ডিসি পূর্ব কুমার গৌতম জানান, আপাতত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুজো দেওয়া নিয়ে দুই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে গন্ডগোল বেধেছিল। পুলিশ তদন্ত করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement