হামলায় জখম বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শুক্রবার রাত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জামালপুরের পুলমাথা এবং নবগ্রাম এলাকায়। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, বর্ষবরণের নামে মত্ত অবস্থায় দু’দলের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে যার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
মারধরের ঘটনা নিয়ে শাসকদলের একাধিক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তরা। পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। যদিও রাজনৈতিক কারণে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করছেন জামালপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
জামালপুরের বিজেপি নেতা জিতেন ডকালের অভিযোগ, ‘‘দিন তিনেক আগে আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিল ইসলামপল্লির বাসিন্দা প্রফুল্ল মিস্ত্রি এবং তাঁর ছেলে অভি। তার বদলা নিতে প্রফুল্ল এবং অভিকে মারধর করে তৃণণূল।’’ জিতেনের আরও অভিযোগ, ‘‘ওই দিনই দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন নবগ্রামের দুই বিজেপি কর্মী সোমনাথ মণ্ডল, সমর মালিক এবং বাপন মালিক। তাঁদের উপরেও রড এবং লাঠি নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।’’ হামলার জেরে ৩ জনই জখম হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। ওই ঘটনায় তৃণমূলের ৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: ‘পার্টি কোম্পানিটাকে হলদি নদীতে ফেলে দেব’, তৃণমূলকে নিশানা করে হুঙ্কার শুভেন্দুর
আরও পড়ুন: ‘ভাইপো মানে অভিষেক’, এ বার নাম করেই আক্রমণ লকেটের
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, ‘‘মারধরের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বর্ষবরণের নামে শুক্রবার মত্ত অবস্থায় ওই অশান্তি হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলকে জড়িয়ে বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফায়দা তুলতে চাইছে।’’