কাঁকসায় প্রচার। নিজস্ব চিত্র
লড়াই রয়েছে পুরোদমে। তাই প্রচারও চলছে জোরকদমে। কাঁকসা পঞ্চায়েত আরও এক বার দখলে রাখতে সিপিএম যখন এলাকার নানা কাজের কথা তুলে ধরছে, তৃণমূল বা বিজেপি সেখানে প্রশ্ন তুলছে উন্নয়ন নিয়েই।
গত পঞ্চায়েত ভোটে কাঁকসা ব্লকের দু’টি পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে ছিল— কাঁকসা ও ত্রিলোকচন্দ্রপুর। কাঁকসায় ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে জিতেছিল সিপিএম। এ বার চারটি আসন তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। বাকি আসনগুলিতে জোর টক্কর হচ্ছে। লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপি-ও। প্রতিটি দলই জোর দিয়েছে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচারে।
তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থীদের দাবি, প্রচারে বেরিয়ে মানুষজনের কাছে এলাকার অনুন্নয়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, সবেতেই পিছিয়ে রয়েছে এই পঞ্চায়েত। এলাকার মানুষ সাধারণ পরিষেবাও সে ভাবে পাননি বলে তৃণমূল প্রার্থী কৌসম্বী কর্মকার, শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়দের দাবি। তাঁদের কথায়, ‘‘এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। সেই সব জায়গায় কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পঞ্চায়েত। নিকাশির সমস্যা গোটা পানাগড় জুড়ে। মানুষ আমাদের তা জানাচ্ছেন।’’
এ বার পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। মূলত পানাগড় বাজার ও লাগোয়া এলাকায় প্রচারে জোর দিয়েছে তারা। পানাগড় বাজারে রাস্তার দু’পাশ, পূর্ব ক্যানালপাড়, রণডিহা মোড়ের মতো এলাকায় তাঁদের যা সংগঠন রয়েছে, তাতে ভাল ফল আশা করছেন বলে জানান বিজেপি নেতারা। তাঁদের আরও দাবি, ওই সব এলাকায় কোনও উন্নয়নই হয়নি। বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কি সাউ, সন্তোষ চৌহান, অমিত সিংহেরা দাবি করেন, পানাগড়ের খাটালপাড়া, হিন্দি স্কুলের পিছনে এখনও শৌচাগার তৈরি করা হয়নি। নিকাশি থেকে আবর্জনা, নানা সমস্যায় জর্জরিত এলাকার বাসিন্দারা।
সিপিএম অবশ্য অনুন্নয়নের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও প্রচারে তুলছে তারা। পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান তথা এ বারের প্রার্থী দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বেশ কিছু কাজ হয়েছে। কিছু বাকি রয়েছে। বিরোধী প্রার্থীরা প্রচারে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে মানুষ সবই জানেন।’’