জেলার অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত আসনে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে শাসকদল। বিরোধীদের দাবি, সন্ত্রাসের মুখে পড়ে মনোনয়নই দিতে পারেননি তাঁরা। এমন আবহে কিছুটা ব্যতিক্রম কালনা ২ এবং পূর্বস্থলী ২ ব্লক। বিরোধীদের দাবি, অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া গিয়েছে এখানে।
কালনা ২ ব্লকে আটটি পঞ্চায়েতের সব কটিতেই তৃণমূল ক্ষমতায়। পঞ্চায়েতের ১২৬টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসন এবং জেলা পরিষদের ২টি আসনের সবকটিতে প্রার্থী দিয়েছে তারা। সিপিএম, বিজেপিও পঞ্চায়েতের ১২১টি ও ১১৬টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে মনোনয়ন সংক্রান্ত বড় কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি। বিরোধীরাই জানাচ্ছেন, মনোনয়ন দিতে মহকুমাশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত যেতে হয়নি, ব্লক অফিসেও দেওয়া গিয়েছে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রণব রায় বলেন, ‘‘এটাই গণতন্ত্র। আমরা সে পথেই হেঁটেছি। অজস্র প্রকল্পে উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ আমাদের পাশে আছেন।’’
পূর্বস্থলী ২ ব্লকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। এখানে পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসক দল ক্ষমতায় থাকলেও বিধানসভা বামেদের দখলে। এলাকায় ভাল সংগঠন রয়েছে বিজেপিরও। মহকুমা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী এখানকার দশটি পঞ্চায়েত এলাকার ১৬৬টি পঞ্চায়েতের আসন, ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং তিনটি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে। যার সবকটি আসনেই মনোনয়ন দাখিল করেছে শাসক দল। সিপিএম, বিজেপিও যথাক্রমে ১৫২টি ও ১৫১টি পঞ্চায়েতের আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ২৭টি ও ২৯টি আসনে এবং জেলা পরিষদের আসনে ৩টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে।
এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা তপন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমাদের ব্লকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার তথ্যই বলে দিচ্ছে কোথাও কোনও বাধা নেই। যাঁরাই মনোনয়ন পত্র জমা দিন আমাদের নিজেদের ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস রয়েছে।’’ এলাকার বর্তমান বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা প্রদীপ সাহা বলেন, ‘‘শাসক দল দু’একটা আসনে আমাদের লোকজনেদের ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে। তবে তাতে কিছু এসে যাবে না। এই পঞ্চায়েত সমিতি এ বার আমাদের দখলেই থাকবে।’’ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভৌমিকের বক্তব্য, ‘‘যেখানে বিজেপি মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে সেখানেই আমরা ভাল ফল করব। পূর্বস্থলী ২ ব্লকে একটি পঞ্চায়েতে একক ভাবে আমরা ক্ষমতায় আছি। ওখানেও ভাল ফল হবে।’’