Lok Sabha Election 2024

তাঁরা যেন ‘সর্বঘটে বিল্বপত্র’, প্রস্তুতি ফলের দিনের

জানা যায়, পাড়ায় প্রায় ১৮টি বাদ্যকর ও মাজি পরিবারের বাস। রবিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ঢাক, ঢোল, সিন্থেসাইজ়ার প্রভৃতি নামিয়ে ঝাড়াঝাড়ি করছেন তাঁরা।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

চলছে বাদ্যযন্ত্র মেরামত। রবিবার দুর্গাপুরের নডিহার আনন্দপুরে। ছবি: বিকাশ মশান ।

ভোটের ফল যাই হোক, ডাক তাঁরা পাবেনই— এই আশায় রবিবার থেকেই বাদ্যযন্ত্র নামিয়ে ঝাড়পোঁছ শুরু করেছেন দুর্গাপুরের নডিহা সংলগ্ন আনন্দপুরের বাদ্যকর পাড়ার ব্যান্ড, তাসা ও ঢাক বাজিয়েরা।

Advertisement

জানা যায়, পাড়ায় প্রায় ১৮টি বাদ্যকর ও মাজি পরিবারের বাস। রবিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ঢাক, ঢোল, সিন্থেসাইজ়ার প্রভৃতি নামিয়ে ঝাড়াঝাড়ি করছেন তাঁরা। পুজো-পার্বণ, অনুষ্ঠান কিংবা বিয়ে এলেই বায়না আসে এই বাজিয়েদের কাছে। তবে এ ছাড়াও ডাক পড়ে ভোটের মরসুমে। প্রচার হোক বা ভোট গণনা, বিজয় মিছিলে ডাক তাঁদের পড়বেই। দু’পয়সা বাড়তি উপার্জনের
উপায়ও বটে।

ওই পাড়ার বাসিন্দা কার্তিক বাদ্যকর, আকাশ বাদ্যকর বলেন, “এই ক’দিন দিনে গড়ে ৫০০ টাকা করে রোজগার হয়। পঞ্চায়েত ভোটে অধিকাংশ আসনে ভোট হয়নি। ডাকও পাইনি, রোজগারও হয়নি। লোকসভা ভোটে প্রচারে ডাক পেয়েছি। এ বার গণনার দিন যে দলই জিতুক, ডাকবে বলে আশা করছি। তাই নিজেদের তৈরি রাখছি।”

Advertisement

তাঁরা আরও জানান, বছরভর দিনমজুরি করেন, চাষবাস করে বা কুলো-ঝুড়ি তৈরি করেই সংসার চালান তাঁরা। পুজো, অনুষ্ঠান বা ভোটে রোজগার কিছু বাড়ে। দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়াডাঙা, কলাবাগান প্রভৃতি এলাকাতেও কয়েকটি তাসা পার্টি রয়েছে। তাঁরাও পেট চালানোর জন্য দিনমজুরি, ঠিকাশ্রমিকের কাজ করেন। জানা গিয়েছে, ভোট গণনার দিনে ডাক আসবে ভেবে তাঁরাও প্রস্তুতি শুরু করেছেন তাঁরাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement