ব্যালট বাক্সের গায়ে থাকবে আলাদা নম্বর এবং ‘কিউআর কোড’। নিজস্ব ছবি।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের মে মাস বা তার কাছাকাছি সময়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। এ বার পঞ্চায়েত ভোট ব্যালট বাক্সে হবে ধরে নিয়ে সেই মতো পদক্ষেপ করাও শুরু করে দিয়েছে কমিশন। জেলায় জেলায় পৌঁছেও যাচ্ছে ব্যালট বাক্স। তবে গত ভোটে ব্যবহৃত ব্যালট বাক্সের থেকে সেগুলি অনেকটাই আলাদা। ওই ব্যালট বাক্সের গায়ে থাকবে আলাদা নম্বর এবং ‘কিউআর কোড’। যাতে সেগুলিকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ব্যবস্থা এ রাজ্যে প্রথম।
পূর্ব বর্ধমানেও সম্প্রতি এই ধরনের ব্যালট বাক্স এসে পৌঁছেছে। কমিশনের নির্দেশ মেনে বাইরে থেকে আসা ব্যালট বাক্সগুলি এখন যাচাই করে দেখা হচ্ছে, সেগুলি ব্যবহারযোগ্য কি না। ছোটখাটো মেরামতের প্রয়োজন থাকলে সেরে ফেলা হচ্ছে সেই কাজও। বাক্সগুলিকে জলপাই সবুজ রং করা হচ্ছে। পাশাপাশিই, কমিশনের নির্দেশ, প্রতিটি ব্যালট বাক্সের নম্বর দেখে পোর্টালে নথিবদ্ধ করতে। ভোটের সময় কোন বুথে কোন ব্যালট বাক্স পাঠানো হচ্ছে, তা যাতে সহজেই জানা যায়, তাই এই সিদ্ধান্ত। পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক কাজল রায় বলেন, ‘‘আগে ম্যানুয়াল রেকর্ড রাখা হত। এখন থেকে তা পোর্টালে ও কম্পিউটারে নথিভুক্ত থাকবে। এতে কোনও রেকর্ড দেখতে গেলে, তা সহজেই দেখা সম্ভব হবে।’’
গত পঞ্চায়েত ভোটে একাধিক গণনাকেন্দ্রে বাক্স বদলের অভিযোগ উঠেছিল। প্রশাসনিক মহল মনে করছে, ব্যালট বাক্সের নম্বর জানা থাকলে, গণনার আগে-পরে বাক্স বদলের ঘটনাও রুখে দেওয়া যাবে। ‘কিউআর কোড’ স্ক্যান করলে ব্যালট বাক্সের যাবতীয় তথ্য বেরিয়ে আসবে। ফলে পুরো প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনা যাবে বলে দাবি তাদের। জেলা প্রশাসনের এক কর্তাও কথায়, ‘‘এখান থেকে কোনও ব্যালট বাক্স অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হলে, তা সহজেই জানা যাবে। ভোটের সময় কোনও বুথে ব্যালট বাক্স সমস্যা হলে সহজেই তা সমাধান করা যাবে।’’