আসেননি বনকর্মীরা, হনুমান ছাত্রীর কাছেই

স্থানীয় চরপাতাইহাট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ভবানীর বাবা বলাই মণ্ডল চপের দোকান চালান। টালির চালের বাড়িতে হনুমানটিকে নিয়ে গিয়ে আগলে রেখেছে ভবানী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:১০
Share:

আদরে: কাটোয়ার চরএকাইহাটে। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

হনুমানের মৃত্যুর পরে তার ছানাকে তিন দিন ধরে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রেখেছেন দশম শ্রেণির ছাত্রী। খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরে। কিন্তু এখনও বনকর্মীরা ছানাটিকে উদ্ধারের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ কাটোয়ার চরএকাইহাটের বাসিন্দাদের।

Advertisement

রবিবার চরএকাইহাটে গোঁসাই মাঠের ধারে ঝোপে মেলে একটি হনুমানের দেহ। তার বুকের উপরে শুয়ে কাঁদছিল ছোট ছানাটি। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে হনুমানটির। বাসিন্দারা ছোট হনুমানটিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েন। সেটিকে কোলে তুলে শুশ্রূষা শুরু করে বছর চোদ্দোর ভবানী মণ্ডল।

স্থানীয় চরপাতাইহাট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ভবানীর বাবা বলাই মণ্ডল চপের দোকান চালান। টালির চালের বাড়িতে হনুমানটিকে নিয়ে গিয়ে আগলে রেখেছে ভবানী। সে বলে, ‘‘ও কাঁদছিল। তাই ওকে বাড়িতে এনে দুধ খাওয়াই। তবে সারাদিন ওকে দেখভাল করতে হওয়ায় পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।’’ ছানাটিকে বাড়ি আনার পর থেকে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি, জানায় সে। বলাইবাবু বলেন, ‘‘সে দিনই প্রতিবেশীরা বন দফতরে খবর দেন। তবে এখনও সেখান থেকে কেউ এসে হনুমানটিকে নিয়ে যায়নি। তাই আমাদেরই দেখভাল করতে হচ্ছে।’’

Advertisement

বন দফতরের কাটোয়ার রেঞ্জের তরফে জানানো হয়, রবিবার নয়, হনুমানের ছানা উদ্ধারের খবর তাঁদের কাছে পৌঁছেছে মঙ্গলবার। রেঞ্জ অফিসার সুকান্ত ওঝা বলেন, ‘‘কাটোয়া ও কালনা, দুই মহকুমা মিলিয়ে দশটি ব্লক সামলাতে হয় আমাদের। কিন্তু কর্মী রয়েছেন মাত্র পাঁচ জন। এত কম কর্মীর পক্ষে প্রতিদিন পশু উদ্ধারে যাওয়া মুশকিল হয়।’’ বুধবার কাটোয়ার স্টেডিয়াম পাড়ায় বন দফতরের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তালা ঝুলছে। দফতর সূত্রে জানা যায়, কর্মীরা কান্দরায় হনুমান উদ্ধারে গিয়েছেন। চরএকাইহাটের বাসিন্দাদের দাবি, হনুমানের ছানাটিকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হোক বন দফতরের তরফে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement