তরুণ প্রার্থী দিয়ে সন্ত্রাস রোখায় জোর বাবুলের

রাজ্য জুড়ে সদ্য হয়ে যাওয়া পুরভোটের প্রচারে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম প্রধান মুখ। সেই ভোট শেষ হতে না হতেই এ বার তাঁর নজর যে নিজের সংসদ এলাকার চারটি পুরসভার ভোটে, ৩৬ ঘণ্টার আসানসোল সফরে কর্মী-সমর্থকদের সে কথা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৫৪
Share:

সিদাবাড়িতে মৎস্য প্রকল্পের উদ্বোধনে বাবুল। ছবি: শৈলেন সরকার।

রাজ্য জুড়ে সদ্য হয়ে যাওয়া পুরভোটের প্রচারে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম প্রধান মুখ। সেই ভোট শেষ হতে না হতেই এ বার তাঁর নজর যে নিজের সংসদ এলাকার চারটি পুরসভার ভোটে, ৩৬ ঘণ্টার আসানসোল সফরে কর্মী-সমর্থকদের সে কথা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

Advertisement

রাজ্যে পুরভোটের প্রচার শেষ হওয়ার পরেই শুক্রবার দুপুরে এলাকায় আসেন বাবুল। রানিগঞ্জে একটি ধর্মীয় সভায় যোগ দেওয়ার পরে পৌঁছন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অমৃতনগর পাম্পিং স্টেশনে। দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এলাকার জল-সমস্যা নিয়ে আলোচনা সেরে মন্ত্রী কুলটিতে একটি কর্মিসভায় যোগ দেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সংযুক্তিকরণের কারণ দেখিয়ে আটকে রাখা রাজ্যের সাত পুরসভায় আগামি দু’মাসের মধ্যে ভোট করাতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে আসানসোল মহকুমার চারটি পুরসভা। শিল্পাঞ্চলের বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এই সময়ের মধ্যে দলকে চাঙ্গা করে সদস্য-সমর্থকদের ময়দানে নামাতে হবে। সেই কাজে দলের প্রধান ভরসা এলাকার সাংসদ বাবুল। কারণ, গত লোকসভা ভোটের সময়ে মূলত তিনিই কর্মী-সমর্থকদের মনোবল টেনে তুলেছিলেন।

কর্মিসভায় জেলা থেকে ব্লক স্তরের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদেরই ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বাবুল এসে পৌঁছনোর পরে তা কার্যত সাধারণ সভায় পরিণত হয়। সেখানে বাবুল বলেন, ‘‘পুরভোটে আমাকে সব সময় সক্রিয় ভাবে পাবেন। কোথাও কোনও সমস্যা বা প্রয়োজন হলে আমাকে জানান। আমি পুরো বিষয়টি দেখব।’’ সদ্য শেষ হওয়া পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিপুল সন্ত্রাসের অভিযোগ করে তিনি জানান, উৎসাহী নবীনদের ভোটে প্রার্থী করতে হবে। লড়াকু মনোভাবের প্রার্থীদের এগিয়ে আনতে হবে। তা না হলে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করা যাবে না। শুধু রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদেরই নয়, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন মানুষজনকে প্রার্থী হিসেবে বাছতে হবে।

Advertisement

শনিবার সকালে বাবুল নিজের দত্তক নেওয়া গ্রাম সালানপুরের সিদাবাড়িতে যান। গ্রামের উন্নয়নের জন্য গৃহীত সরকারি প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে সে সব খোঁজখবর নেন। এ দিন তিনি মাছের চারা ছেড়ে একটি মৎস্য প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে, মাইথন জলাধার লাগোয়া বরাকর নদে তারজালির বেড়া দিয়ে প্রায় ২০টি চৌবাচ্চা তৈরি করা হয়েছে। সেথানে মৎস্য প্রজননের ব্যবস্থা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে, মাছের চারাগুলি একটু বড় হলে চৌবাচ্চা থেকে তুলে পুকুরে ছাড়া হবে। সমবায় প্রথায় এই চাষ করা হলে এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। বাবুল বলেন, ‘‘এটা সবে শুরু। এর পরে গবাদি পশু, সবজি, ফল, হাঁস ও মুরগির চাষ করেও এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’’

ওই গ্রামে এসেছিলেন কেন্দ্রের মৎস্য দফতরের নির্দেশক বি মিনা। তিনি জানান, এ ভাবে সম্ভাবনাময় গ্রামগুলিতে মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারলে ও সমবায় প্রথায় মাছ চাষ করা হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশে মাছের চাহিদাও পূরণ করা যাবে। শিল্পাঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা কী ভাবে মেটানো সম্ভব সে নিয়েও সাংসদ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ইসিএল এবং ইস্কোর আর্থিক সহায়তায় নির্জলা অঞ্চলগুলিতে গভীর নলকূপ খননের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement