কল্যাণপুরে। নিজস্ব চিত্র
রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুটপাটের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার মাঝরাতে আসানসোলের কল্যাণপুর সরকারি আবাসন এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানায়, আসানসোল উত্তর থানার কল্যাণপুর সরকারি আবাসন অঞ্চলের বাজার এলাকায় রয়েছে দু’টি এটিএম কাউন্টার। বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাউন্টারটিতে একটি এটিএম রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাউন্টারটিতে রয়েছে দু’টি এটিএম। তিনটি এটিএম-ই ভাঙচুর করা হয়। তবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ জানান, মেশিনের ভল্টগুলি ভাঙতে না পারায় টাকা লুট করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। এখানেই শেষ নয়। স্থানীয় একটি আবাসনের গ্যারাজে থাকা একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
বুধবার ভোরে এলাকাবাসী সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে এটিএমগুলি ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় আসানসোল উত্তর থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের এলাকায় নাকাবন্দি করে তল্লাশি চলছে। দুষ্কৃতীরা দ্রুত ধরা পড়বে।’’ তদন্তকারীরা জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে কিছু তথ্য মিলেছে। এটিএম কাউন্টারগুলির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের খোঁজ চলছে।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কাউন্টারগুলির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির আধিকারিকেরা জানান, ওই এটিএম কাউন্টারের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি ঠিকা সংস্থা। কিন্তু সেখানে কোনও নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন না। ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। শহরের অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত ওই অঞ্চলে অতীতে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি বলে জানান বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীরা স্থানীয় একটি আবাসনের গ্যারাজে থাকা গাড়ির কাচও ভেঙেছে। এটিএম কাউন্টারগুলির একশো মিটারের মধ্যে খাকা ওই আবাসনের কেয়ারটেকার কাজল বাউড়ি পুলিশকে জানান, মাঝরাতে তিনি ভাঙচুরের আওয়াজ পেয়েই ঘরের বাইরে এসে দেখেন জনা চারেক দুষ্কৃতী গাড়ি লক্ষ করে আধলা ইট ছুড়ছে। তিনি চিৎকার করলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। পুলিশের কাছে পৃথক একটি অভিযোগ জমা করেছেন গাড়ির মালিকও।
বুধবার সকালে ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাস। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের কাছে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’