চলল অভিযান। নিজস্ব চিত্র।
শহরে পুকুরগুলির পরিস্থিতি কী, তা খুঁজে দেখা শুরু করল আসানসোল পুরসভা। বৃহস্পতিবার জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, প্রাথমিক ভাবে শহরের দু’টি বড় আবাসন চত্বরে পাঁচটি এমন পুকুরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যেগুলির বেশ কিছুটা অংশ ভরাট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি দখল ও পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। এর পরেই আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট ও সরকারি জমি কব্জা করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট পুকুর ভরাট রুখতে পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে।
এর পরেই বৃহস্পতিবার পুরসভার আধিকারিকেরা আসানসোলের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া দু’টি বড় আবাসন এলাকায় অভিয়ান চালান। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে পুকুরের অস্তিত্ব বার করা হয়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বিশদ রিপোর্ট তৈরি করেন আধিকারিকেরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে এই কাজ শেষে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার প্রসেনজিৎ মণ্ডল বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চলছে। বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দু’টি জায়গায় এমন পাঁচটি পুকুরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যেগুলির কোনওটি পুরো, আবার কোনওটি আংশিক ভরাট করা হয়েছে। এখানে পুকুর ভরাট করে নির্মাণের বিষয়ে কিছু বাসিন্দা ২০২১ সালে পুরসভায় অভিযোগ করেন। তখন আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি।
পুকুরের জায়গা তোলা নির্মাণ ভেঙে কি পুকুর খনন হবে, নাকি অন্য কোথাও নতুন পুকুর খনন করা হবে— প্রশ্ন নাগরিকদের অনেকের। শহরের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অভিযান চলছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আলোচনা করে ঠিক হবে।’’ পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া এমন একাধিক আবাসন পুকুর, ডোবা ও খাল বুজিয়ে মাথা তুলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।