বাড়ির দেওয়ালে সিপিএমের প্রচার থাকায় একটি পরিবারকে হুমকি ও গালিগালাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। দেওয়ালটি মুছেও দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান শহরের কোটালহাট এলাকার ওই পরিবারটি থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন। তবে অভিযোগ মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সিপিএমের তরফে ওই বা়ড়ির দেওয়াল লেখা হয়। অভিযোগ, রাতেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা এসে ওই পরিবারের লোকেদের শাঁসিয়ে যান। গালিগালাজও করা হয়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির বাসিন্দা পুষ্পা দত্ত বলেন, ‘‘সিপিএমের লোকেরা আমাদের অনুমতি নিয়েই বাড়ির দেওয়ালে লিখেছিল। কিন্তু রাতের দিকে তৃণমূলের এক দল ছেলে এসে আমাদের গালিগালাজ করে। হুমকিও দেয়। চিৎকার করে পড়শিদের ডাকলে তখনকার মতো পালিয়ে যায় তারা।’’ পরে রাত বাড়লে আবারও এক দল লোক এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করে, গালিগালাজ করে বলে তাঁর অভিযোগ। এমনকী, ইট ছুড়ে জানালার কাচও ভেঙে দেয়। এরপরেই পুলিশ অভিযোগ করেন তাঁরা। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী আইনুল হক বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেরা অনুমতি নিয়েই দেওয়াল লিখেছিল। কিন্তু তৃণমূলের লোকেরা বাড়িতে ভাঙচুর করে। হুমকি দেয়।’’ সিপিএমের দাবি, এর আগেও শহরের গোদা এলাকায় দেওয়াল লিখন ও প্রচারে বাধা দেয় তৃণমূল। এলাকায় ঢুকতে বাধাও দেওয়া হয়। আসলে বর্ধমানে পায়ের তলার জমি আলগা হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই তৃণমূল মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। তবে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর শৈলেন্দ্র নাথ ঘোষের দাবি, ‘‘কোটালহাটের দেওয়াল লেখা নিয়ে গোলমালে আমাদের দলের কেউ জড়িত নন। অনুমতি নিয়ে কোনও দল প্রচার করলে আমরা বাধা দেব কেন?’’ তবে কাউকে হুমকি দেওয়া কথা শোনেননি বলে তাঁর দাবি।
বর্ধমান থানার পুলিশ জানায়, দেওয়াল লেখা নিয়ে দু’দলের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তাদের বোঝানোও হয়েছে। বাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার দিকটিও দেখা হচ্ছে।