সুনীলবাবুর বাড়ির সামনেই ছেঁড়া হয়েছে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
২৪ ঘণ্টা আগেই কাঁকসায় বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে এসে তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে, এলাকায় শুভেন্দুবাবুর ছবি দেওয়া পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। বৃহস্পতিবার কাঁকসার ওই এলাকায় শুভেন্দুবাবুর ছবি দেওয়া তিনটি পোস্টার ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ ‘দাদার অনুগামীদের’। ঘটনার জন্য তাঁরা আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ মানেনি তৃণমূল।
এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাঁকসা থানার উল্টো দিকে সাংসদ সুনীলবাবুর বাড়ির সামনে দু’টি এবং স্থানীয় রথতলায় একটি পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। পোস্টার থেকে শুভেন্দুবাবুর ছবি আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে মাটিতে।
এ প্রসঙ্গে, সদ্য দলত্যাগী দুর্গাপুরের নেতা তথা ‘ঘোষিত দাদার অনুগামী’ চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ সুনীলবাবু সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্যের শাসক দলের দিকেই। সাংসদ সুনীলবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘যাঁরা এ সব কাজ করেন, তাঁদের রাজনৈতিক জ্ঞান নেই। কারা সভ্য, কারা অসভ্য, কাজের মাধ্যমেই তার প্রকাশ হচ্ছে। এই করেই দলটার (তৃণমূলের) সর্বনাশ হল।’’ চন্দ্রশেখরবাবুর অভিযোগ, ‘‘ছবি ছিঁড়ে মানুষের মন থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে দূরে রাখা যাবে কি? কাঁকসার তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে বলব, এ ভাবে যুব সমাজকে বিপথে চালিত না করে বরং তাঁদের কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামুন।’’
তবে এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও রকম যোগ মানতে চাননি তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী। তাঁর দাবি, ‘‘বঙ্গধ্বনি এবং দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে আমাদের দলের সবাই খুবই ব্যস্ত। তৃণমূলের কেউ এ সব কাজ করে না। নিজেদের প্রচারের আলোয় রাখতে ওঁরাই এ সব করেছেন বলেমনে হয়।’’