বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার কার্যালয়ে বছরখানেক ধরে চক্কর কাটছেন এক বৃদ্ধা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কখনও একা, কখনও ছেলেকে নিয়ে আর্জি রাখছেন স্থায়ী আমানতের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যে। তাতেও কাজ না হওয়ায় সোমবার কাটোয়ার মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন শুয়াগাছির ওই বৃদ্ধা।
বছর ষাটেকের ওই বৃদ্ধার অভিযোগ, মেয়ার পূর্ণ হওয়ার পরেও অর্থলগ্নি সংস্থা প্রাপ্য টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ২০১২ সালের অগস্টে বেসরকারি লগ্নি সংস্থার কাটোয়া শাখায় ৩৬ মাসের স্কিমে দু’ধাপে তিন লক্ষ এবং পরে আরও দু’লক্ষ টাকা এমআইএস করেন তিনি। বৃদ্ধার দাবি, ওই মেয়াদ পূর্ণ হওয়া ইস্তক টাকা ফেরতের আর্জি রেখে আসছেন। কিন্তু, কাজ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রথম ৩৪ মাস সুদ পেয়েছিলাম। তারপর থেকে সেটাও বন্ধ। টাকাও ফেরত পাচ্ছি না। উপরন্তু মেয়াদের সময়সীমা আরও দু’বছর বাড়াতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ তবে শুধু ওই বৃদ্ধা নন, বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে আরও অনেকের। টাকা না পেয়ে আতান্তরে এঁদের সকলেই।
এ দিন ওই লগ্নি সংস্থার অফিসে গিয়ে দেখা গেল, অফিস খোলা। ম্যানেজার নেই। তবে রয়েছেন ছ’জন কর্মী। মেয়াদ শেষের পরেও টাকা না দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি ওই কর্মীরা। তাঁদের কথায়, ‘‘সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচিওরিটির সময়সীমা আরও দু’বছর বাড়ানো হয়েছে বলেই জানি।’’ আমানতকারীদের অভিযোগের কথা মেনেছেন মহকুমাশাসক খুরশিদ কাদরি। তাঁর আশ্বাস, ‘‘তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’