বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ্রাবণী ঘোষ (২০) নামে ওই বধূর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার কাঁকসা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা হেমন্ত পাল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
মানকরের পঞ্চকালীতলার বাসিন্দা হেমন্তবাবু জানান, বছর খানেক আগে কাঁকসার রূপগঞ্জের বাসিন্দা সাধন ঘোষের বিয়ে হয় শ্রাবণীদেবীর। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই সাধনবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ হেমন্তবাবুর। বিয়ের সময় কোনও পণ না নিলেও পরে টাকার জন্য মারধর করা হত বলে দাবি তাঁর। হেমন্তবাবু জানান, ২৫ অক্টোবর জামাই সাধন ঘোষ তাঁকে ফোন করে জানায়, রান্না করতে গিয়ে সামান্য পুড়ে গিয়েছেন শ্রাবণীদেবী। তাঁকে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখেন, মেয়ের প্রায় সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে গিয়েছে। সোমবার রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শ্রাবণীদেবীর। সাধনবাবু তাঁকে হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ বধূর বাবার।
এ দিন তিনি কাঁকসা থানায় স্বামী সাধন ঘোষ, শ্বশুর গুরুপদ ঘোষ-সহ মোট চার জনের নামে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।