পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী সঙ্গীতা চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দুপুরে আউশগ্রামের আশিন্দা গ্রামের কাছে অচৈতন্য অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। প্রথমে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নেত্রীর বাড়ির ঘটনাস্থলের কাছেই বিল্বগ্রামে। এ দিন দুপুরে গ্রাম থেকে বেরনোর পরেই আশিন্দা গ্রামের কাছে সেচখালের ধারে তাঁকে ঘিরে বেশ কিছু দুষ্কৃতী মারধর করে বলে অভিযোগ। দলেরই আর এক গোষ্ঠীর লোকজন এই ঘটনায় জড়িত বলেও দাবি করেন তিনি।
মাসখানেক আগেই দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলার অভিযোগ তুলে বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধর্নায় বসেন সঙ্গীতাদেবী। ঘটনার খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। ওই মহিলার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে ধর্না প্রত্যাহার করেন সঙ্গীতাদেবী।
এ দিন সঙ্গীতাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, বিল্বগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মারধর করেছে। সঙ্গীতাদেবীর অভিযোগ, “বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে আমি সরব হয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। সে ব্যাপারে মীমাংসা করার জন্য আমাকে ফোন করে ডাকা হয়। ওই ফোন পেয়ে গ্রামের বাইরে যেতেই আমাকে মারধর করা হয়।” তাঁর আরও দাবি, পঞ্চায়েত থেকে এক দিনে এক জন ঠিকাদারকে ১২৩টা কাজের জন্য ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। আউশগ্রাম ১ বিডিও এ ব্যাপারে তদন্তও শুরু করেছেন।
যদিও উজ্জ্বলবাবু বলেন, “আমার বা দলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে গোলমাল বলে শুনেছি।” স্থানীয় একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রী রীতা শ্যাম জানিয়েছেন, তাঁরা বনপাশ হাটতলা থেকে গ্রামে ফিরছিলেন। সেই সময় সঙ্গীতাদেবী তাঁদের রাস্তা আটকে উল্টোপাল্টা কথা বলতে থাকায় ঝামেলা বেধে যায়। রীতাদেবীও আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন। তৃণমূল ব্লক সভাপতি সালেক রহমান সাফ জানিয়েছেন, সঙ্গীতাদেবী তাঁদের দলের কেউ নন।
বাজেয়াপ্ত মদ। তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ লিটার চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। বুধবার মঙ্গলকোটের নিগন থেকে গ্রেফতার করা হয় বিক্রেতা নাড়ুগোপাল সরকে। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের জেল হাজত হয়।