সেই হিরা ফের অভিযুক্ত মারে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের সামনের সংকীর্ণ রাস্তায় কাউন্সিলরের গাড়ি আটকে যায়। রাস্তার এক দিকে একটি গাড়ি ও অন্য দিকে কয়েকটি মোটরবাইক রাখা ছিল। কাউন্সিলরের অনুগামীরা সেগুলি ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালক গাড়িটি সরিয়ে নিতে গেলে হিরা হেলমেট দিয়ে গাড়িতে মারেন বলে অভিযোগ। সুমন্তবাবু দোকান থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করায় তাঁকে হেনস্থা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ১৪:০০
Share:

কাউন্সিলর হিরা বাউরি। ফাইল চিত্র

দাদাগিরি, ঝামেলা পাকানোর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আগেও উঠেছে। এ বার এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে মারধরে নাম জড়াল দুর্গাপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর হিরা বাউড়ির। মঙ্গলবার রাতে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড় করানো কয়েকটি মোটরবাইক ও গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টাও করেন কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা, অভিযোগ ওই ব্যবসায়ীর। কাউন্সিলরের যদিও দাবি, মারধর-ভাঙচুরে তিনি জড়িত নন।

Advertisement

দুর্গাপুরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ফরিদপুর মোড়ে ওষুধের দোকান রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন্ত মণ্ডলের। ফরিদপুর ফাঁড়িতে তিনি অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ হিরা বাউড়ি দলবল নিয়ে সামনের রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর উপরে চড়াও হন। গাড়ি ও মোটরবাইক ভাঙচুরের চেষ্টার প্রতিবাদ করতে যেতেই তাঁকে গালিগালাজ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের সামনের সংকীর্ণ রাস্তায় কাউন্সিলরের গাড়ি আটকে যায়। রাস্তার এক দিকে একটি গাড়ি ও অন্য দিকে কয়েকটি মোটরবাইক রাখা ছিল। কাউন্সিলরের অনুগামীরা সেগুলি ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালক গাড়িটি সরিয়ে নিতে গেলে হিরা হেলমেট দিয়ে গাড়িতে মারেন বলে অভিযোগ। সুমন্তবাবু দোকান থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করায় তাঁকে হেনস্থা করা হয়। সুমন্তবাবু বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকে আমি ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

হিরার পাল্টা দাবি, বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সুমন্তবাবুর পরিবার নানা ভাবে তাঁর ও তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করেন। মারধরের অভিযোগ নিয়ে হিরার বক্তব্য, ‘‘এমন কিছুই হয়নি। আমি বা আমার সঙ্গে থাকা কেউ কাউকে মারধর করেনি।’’

মাল্টিপ্লেক্সে জোর করে সিনেমার শো বন্ধ করা, পারিবারিক বিবাদ মেটাতে পার্টি অফিসে ডেকে মহিলাকে মারধর, রাতে তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে ঢুকে এক সংস্থার কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা তৈরির বখরা চেয়ে ঠিকাদারকে মারধর— ২০১২ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই হিরার বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। দলের তরফে তাঁকে ‘শো কজ’ও করা হয়েছে। ফের মারধরের অভিযোগ তাঁর নাম জড়ানোর পরে তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দলের তরফেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement