বাস চালাতে দেওয়ায় পক্ষপাতের অভিযোগ

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া বাস চালানোর দায়িত্ব শুধু মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের হাতে দেওয়ায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (এসবিএসটিসি) বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল আসানসোলে। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বড় বাস মালিকদের সংগঠন। স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে পরিবহণ কর্মীদের নানা সংগঠনও। এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ যদিও কোনও পক্ষপাতের কথা মানতে চাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ০১:১৯
Share:

এই বাসগুলি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া বাস চালানোর দায়িত্ব শুধু মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের হাতে দেওয়ায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (এসবিএসটিসি) বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল আসানসোলে। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বড় বাস মালিকদের সংগঠন। স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে পরিবহণ কর্মীদের নানা সংগঠনও। এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ যদিও কোনও পক্ষপাতের কথা মানতে চাননি।
আসানসোল শিল্পাঞ্চলে নানা রুটে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে পাওয়া ৫০টি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বাসগুলি এসবিএসটিসি-র তত্ত্বাবধানেই চলবে। পাঁচটি বাস ইতিমধ্যে চলতে শুরু করেছে। এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাসগুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ নিয়েই উঠেছে অভিযোগ।
আসানসোলের বড় বাসের মালিকদের দাবি, এই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ রুটেই বড় বাস নেই। অনেক জায়গায় আগে চলত। কিন্তু, আয় কমে যাওয়ায় বহু বাস সারাতে পারেননি মালিকেরা। শেষমেশ রাস্তায় বাস নামানো বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকে। বড় বাস মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, নতুন এই বাসগুলি চালানোর দায়িত্ব তাদের দেওয়া হলে আর্থিক দিক থেকে লাভ হত। সংগঠনের সম্পাদক প্রকাশ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের কাছে ওই প্রকল্পের বাসগুলি চালানোর দায়িত্ব চেয়ে লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও আগ্রহ দেখানো হয়নি।’’

Advertisement

এ নিয়ে সরব হয়েছে নানা পরিবহণ কর্মী সংগঠনও। আইএনটিইউসি-র পরিবহণ কর্মী সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জয় সেনগুপ্তের দাবি, কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের আমলে এই বাসগুলি আসানসোলের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। বেকার যুবকদের সমবায় পদ্ধতিতে বাসগুলি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া লক্ষ্য উদ্দেশ্য। তাতে কর্মসংস্থান হত। সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘সেই উদ্দেশ্যকে বানচাল করে এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ স্বজনপোষণের আশ্রয় নিয়েছেন।’’ এর প্রতিবাদে তাঁরা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ ভাবে বাস চালানোর সিদ্ধান্তে শহরবাসী উপকৃত হবেন না বলে দাবি করেছেন সিটুর পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক হেমন্ত সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হঠাৎ এমন একতরফা সিদ্ধান্তের পিছনে আমরা স্বজনপোষণের ছকই দেখছি।’’ শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, মিনিবাসের মালিকেরা নিজেদের স্বার্থরক্ষায় নতুন বাসগুলি এমন রুটে ও সময়ে চালাবেন যখন বিশেষ যাত্রী মিলবে না। তাতে ক্ষতির মুখে পড়বে এসবিএসটিসি।

Advertisement

যদিও এই অভিযোগ একেবারে মনগড়া বলে মন্তব্য করেছেন আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায়। তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তায় বাসগুলি দেখলেই বোঝা যাবে কেমন যাত্রী হচ্ছে।’’ স্বজনপোষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এসবিএসটিসি-র এমডি নবকুমার বর্মণও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের হাতে বাস দিইনি, যৌথ ভাবে চালাচ্ছি। এতে শহরবাসীর লাভই হবে।’’ বড়বাস মালিকদের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি জানান, আর চালাতে দেওয়ার মতো বাস তাঁদের কাছে নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement