রেজিস্ট্রারের নিয়োগ অবৈধ বলে অভিযোগ করেছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুরুলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপকরঞ্জন মণ্ডলের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে সেই অভিযোগের। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। কোনও দোষীকেই রেয়াত করা হবে না।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ‘বর্ধমান ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (বুটা)-এর চেয়ারম্যান মানস বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেছেন, যে কর্মসমিতির বৈঠকে রেজিস্ট্রার হিসেবে দেবকুমার পাঁজাকে নিয়োগ হয়েছিল সেই কর্মসমিতিটিই অবৈধ। কারণ, ওই সমিতিতে এমন এক জন রয়ে গিয়েছিলেন যাঁর সদস্যপদ আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই রেজিস্ট্রার নিয়োগের প্রক্রিয়াটি অবৈধ বলে তাঁদের দাবি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২০১৫-র অগস্টে যে কর্মসমিতিতে দেবকুমারবাবুকে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ করা হয় সেখানে সই করেন সমিতির এক সদস্য নিরুপমা দেবী। তিনি একটি আইন কলেজের অধ্যক্ষা হিসেবে সমিতিতে ছিলেন। কিন্তু কলেজটি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তার আগেই সে বছর জুনে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে। কিন্তু তার পরেও রেজিস্ট্রারের নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর সই করা বেআইনি হয়েছে বলে অভিযোগ বুটা-র। মানসবাবু দাবি করেন, ‘‘কোনও কর্মসমিতিতে এক জনের পদ অবৈধ হলে গোটা কর্মসমিতিই অবৈধ হয়ে পড়ে। তাই মন্ত্রীর কাছে রেজিস্ট্রারকে দ্রুত খারিজ করার আবেদন জানিয়েছি।’’
তদন্ত কমিটির প্রধান দীপকরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। এর বেশি কিছু বলব না।’’ নিরুপমা দেবীর সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। রেজিস্ট্রার দেবকুমারবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই কোনও মন্তব্য করব না।’’